শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ ২৯ শে অক্টোবর রোমিও জুলিয়েট কে হার মানালেন উওর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার অন্তরগর্ত কুমড়া পঞ্চায়েত এর ভারতী নগর কলোনি এলাকার মন্ডল দম্পতি। বাড়ির ওঠানে আত্মীয়স্বজন সহ উপস্থিত এলাবাসি। মন্ডল দম্পতি মনিমহোন মন্ডল (৭৩) এবং স্ত্রী নিরুপমা মন্ডল(৬৩) দুই জনকে একদম বর কনে রুপে সাজানো হয়। মেয়েকে বেনারসি, মাথায় মুকুট, পায়ে আলতা, কপালে বড়ো করে সিঁদুর পড়ানো, হাতে শাখা পলা সাথে আছে কপালে চন্দন এর ফোঁটা এবং গলায় রজনীগন্ধা ফুলের মালা।
অন্যদিকে বরকে পঞ্জাবী, মাথায় মুকুট, কপালে চন্দন এর ফোঁটা সাথে গলায় রজনীগন্ধা ফুলের মালা। সাথে ছিল আর্শীবাদের সরমজাম সহ বরন কুলো। স্থানীয় বাসিন্দারা সকলে দম্পতিকে বরন করে নিচ্ছেন শেষ বারের মত। আর বরনের সময় সকল এলাকাবাসী উলু ও শঙ্কধ্বনিও করেন। সব শেষে নিয়ে যাওয়া হয় শশ্মান যাএায়।
[espro-slider id=13511]
ছেলে রাহুল মন্ডল বলেন, মা বাবার ৫০বছর সংসার জীবন আমরা কোনও সময় ভাবতে পারেনি এক সাথে দুই জনকেই হারাতে হবে। সব সময় দুই জন বলতেন এক সাথে সব কিছু করবো, মারা পযর্ন্ত একসাথে যাবে এমনই ইচ্ছা ছিল। কারন চাঁর বছর আগে নিরুপমা মন্ডল প্যারালাইসেস পরে যান। তারপর থেকে বৌমা সহ স্বামী মনিমহোন বাবু দেখা শোনা করতেন। আরো বলেন, তাই তাদের দুইজনকে শেষ বিদায় নব দম্পতি হিসাবে চির বিদায় দিয়েছি।
উল্লেখ্য, পেশায় রেল পুলিশ ছিলেন মনিমহোন মন্ডল। তার চার মেয়ে এক ছেলে। বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থতার কারনে ভুগছিলেন মনিমহোন মন্ডল। এরপর গত ২৭ শে অক্টোবর রাত ৭:৩০ নাগাদ তার মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পরে সাথে সাথে পরিবারের লোকজন বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ২:৩০ নাগাদ তিনিও মারা যায়। পেশায় রেল পুলিশ ছিলেন মনিমহোন মন্ডল।
প্রসঙ্গত বর্তমানে যেখানে প্রেমিক-প্রেমিকা এক সাথে আত্মহত্যা করে মারা যায়। সেখানে রোগের কারনে এক সাথে দম্পতি কয়েক ঘন্টার ব্যাবধানে মারা যাবে এই বিষয় একটু ব্যতিক্রমই ভাবছেন ভারতী নগর কলোনির এলাকাবাসী।