শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
বাবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করেছিল ছেলে-মেয়ে। আর সেই কারণে রাগে রাস্তায় ফেলে মার ধোর করে কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে তার বাবা। ভাই এসে দিদিকে বাঁচাতে গেলে তাকেও বাঁশ দিয়ে পেটায় বাবা এমনটাই অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন মেয়ে সঞ্চিতা মজুমদার। কতো নির্মম হতে পারে বাবা এটা চিন্তা করেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
ঘটনা বিবরনে সঞ্চিতা বলেন “রাস্তায় ফেলে আমাকে চুলের মুঠি ধরে ভরা রাস্তায় ফেলে মারে পাপা। ঠেকাতে গেলে ভাইকেও মারধর করে পাপা। পাপা এখন চাইছেন আমাদের বাড়ী থেকে বের করে দিয়ে বাড়ীটিকে বিক্রি করে এখান থেকে বিলাসপুর চলে যেতে, যেখানে পাপার অপর সম্পর্কের মহিলা থাকেন” বর্তমানে মেয়ে সঞ্চিতা মজুমদার হাবড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, রাতে অবস্থার অবনতি হলে বারাসাতে রেফার করা হয়ে। সঞ্চিতার বয়ান অনুসারে সঞ্চিতা বারাসাত কলেজের ইংরাজি অনার্স এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বাড়ি হাবড়া থানার কুমড়া বাজার এলাকায়।
মা কাকলি মজুমদার ও বাবা সুধাংশু মজুমদারের ভেতর অশান্তি চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই যার ফলে হাবড়া থানায় কাকুলি দেবী স্বামীর বিরুদ্ধে বধু নির্যাতনের অভিযোগও দায়ের করেন গত ৭ই ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে। মা কাকলি মজুমদারের এই লড়াইতে সাতে ছিলেন তার মে ও ছেলে হীরক মজুমদার।
শনিবার সকালে বারাসাত হোস্টেল থেকে বাড়িতে ফিরে ছিলেন মেয়ে সঞ্চিতা সেই সময় আচমকা তার বাবা পেশায় কোয়াক ডাক্তার সুধাংশু মজুমদার তাকে মারধর করে বেধরক এবং ভাই ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করে।
স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় সঞ্চিতাকে ভর্তি করা হয়ে, এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে রাত ৯টা নাগাদ রেফার করা হয় বারাসাত হাসপাতালে । স্বামীর হাত থেকে প্রানে বাচতে সন্তানকে নিয়ে কয়েকদিন ধরে কাকলী দেবীর দাদার বাড়িতে আছেন তারা। এই ঘটনার পর ছাত্রীর মা হাবড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্তে হাবড়া থানা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
যদিও নিজের স্ত্রীর চরিত্র ভালো না বলে বনি বনা নেই সম্পর্ক্য রাখতে চাই না দাবী অভিযুক্ত স্বামীর।
মা ও বাবার দুজনই দূজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ অবৈর্ধ সম্পর্ক আছে দুজনের। অপরদিকে পেশায় কোয়াক ডাক্তার সুধাংশু মজুমদার জানান, তার স্ত্রী অর্থাৎ কাকলী মজুমদারের অবৈধ একটি সম্পর্ক রয়েছে স্থানীয় সুদিপ সাহা নামক ব্যক্তির সাথে। এবং তিনি তার বাড়িতে না থাকাকালীন স্থানীয় সুদিপ সাহা নামক ব্যক্তিটি তাদের বাড়িতে আসেন তাই নয় বরং তার বাড়িতে রাত কাটান ও ভোর ৪টে নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েও যান ঐ ব্যক্তিটি। এমনকি সুধাংশু মজুমদার দাবী জানান এই সকল বিষয়ে তার কাছে যথাযথ তথ্য ও প্রমান রয়েছে। নিজের স্ত্রীর চরিত্র ভালো না বলে সম্পর্ক্য রাখতে চাই না দাবী অভিযুক্ত স্বামীর। সঞ্চিতা এবার তার বাবার বিরুদ্ধে স্থানীয় হাবড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। হাবড়া থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে।