Webdesk, Barrackpore, 8th May 2024: বাঙালির শয়নে, স্বপনে, মননে, সুখে-দুঃখে, উৎসবে সবেতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রয়েছে। বলা যায়, গুরুদেব বাঙালির আত্মার সঙ্গে মিশে আছেন। এজন্যে পঁচিশে বৈশাখ সকলের এতটা কাছের এবং গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ ৮ই মে, বুধবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩ তম জন্মদিন। ক্যালেন্ডারে বুধবার হলেও আজ রবি-বার। আর ঠিক এই দিনটিকে নিজেদের মতন করে পালন করলো ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল শ্রী অরবিন্দ ইন্সটিটিউসন।
স্কুল- কলেজ, পাড়ায়- পাড়ায় প্রায় একমাস আগে থেকে চলে তার প্রস্তুতি। এটি যেন কোনও উৎসবের থেকে কোনও অংশে কম না। যার নমুনা সরাসরি চোখে পড়লো ব্যারাকপুরের শ্রী অরবিন্দ ইন্সটিটুশন প্রাঙ্গনে। সকাল ৯:৩০ মিনিট থেকেই শুরু হয়ে এই বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মরনে এদিনের অনুষ্ঠান শুরু হয়। স্বভাবতই গঙ্গাজলে যেমন গঙ্গাপুজো হয়, ঠিক তেমনই বাঙ্গালীর গর্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে স্মরন করা হয়ে তারই সৃষ্টি করা গান ও নাচের মাধ্যমে।
বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে একদিকে যেমন দেখা গেল বিদ্যালয়ের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের বেশ সাবলীল ভাবেই মঞ্চে নেচে বেড়াতে, আবার অপরদিকে সমবেত কন্ঠে রবিন্দ্র সঙ্গীত গাইতেও দেখা গেল বিদ্যালয়ের টিচারদের। এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিবেশনা করেন পুরস্কার প্রাপ্ত স্থানীয় নৃত্য শিল্পী তিমির রায়। তারই নির্দেশনায় গেয়ে বেড়াতে দেখা গেল।
এই একই দিনে দেখা গেল এই বিদ্যালয় থেকে যে সকল ছাত্র ছাত্রী এবারের আই.সি.এস.সি পরিক্ষায় ৮৬ শতাংশ মার্ক্স পেয়ে ক্লাস টেনের পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের মঞ্চে ডেকে সকলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে।
এই একটা দিন বাঙালির জীবনে যেন চিরকালীন রবি-বার। এই নামে বিভেদ নেই, ভেদাভেদ নেই। পদ্মাপাড় হোক বা নিউ ইউর্কের টাইমস স্কয়ার, রাশিয়া হোক বা জাপান - বিশ্বের দেশ-কালের ঊর্ধ্বে তিনি সত্যি, এবং প্রতি মুহূর্তে প্রাসঙ্গিক। তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর সৃষ্টি বিশ্ববাসীর কাছে সম্পদ, যার জন্য আজ বিশ্বে বাঙ্গালীর নাম উজ্জ্বল সেই রবিন্দ্রনাথকে কি ভাবে ভুলতে পারে বাঙালি?
উৎসব-উদযাপনের আয়োজনে অনেক যত্ন যেমন থাকে, উল্টোটাও থাকে। আড়ম্বরের আতিশয্যে অনেকসময়ই মানুষের মন থেকে হারায় রবীন্দ্র ভাবনা। সেই ভাবনা বিকোশিত হোক, প্রতি দিন, বারো মাস, বছর ভর। এই হোক এই পঁচিশের প্রার্থনা।