অমিয় দে, বারুইপুরঃ ২৫শে অগস্ট, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা বারুইপুরে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছিল। সেই রহস্যের কিনারা করে ফেললো পুলিশ। দোকানের মালিক দেবকুমার রায় স্বীকার করে যে তার ব্যাংক ও বাজারে প্রচুর দেনা আছে। এই দেনা মেটানোর জন্য তিনি একটি নাটক ফাঁদে। তার একার পক্ষে সম্ভব নয় জেনে তার দোকানের এক কর্মচারী সামরান গাজী ও বাইরে থেকে দুই সঙ্গী কে নিয়ে তিনি এই ডাকাতির নাটকটি করে।
প্রসঙ্গত, গত ২৫শে অগোস্ট বারুইপুর থানার চম্পাহাটি স্টেশন লাগোয়া এলাকায় দেবনাথ সিলভার হাউস নামে একটি গহনার দোকানে ভর দুপুরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। দোকানের মালিককে নাকি দোকানের ভিতরে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ডাকাতি করা হয়। দোকানের ভিতরে তালা বন্ধ করে রেখেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা, এমনটাই দাবি ছিল দোকানের মালিক দেবকুমার দেবনাথের। তার পরেই বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। জানান, তাঁর প্রায় তিরিশ কিলোগ্রামেরও বেশি রুপোর গহনা ডাকাতি হয়ে গিয়েছে।
বুধবার রাতেই অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই দোকান থেকে খোওয়া যাওয়া ১২ কিলোগ্রাম রূপার গহনা। এ বিষয়ে বারুইপুর জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ঘটনার পর তদন্তে নেমে দোকানের মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় আমাদের তদন্তকারী অফিসাররা অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন। এরপর ওদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বিষয়টি সামনে আসে। বাজারে প্রচুর টাকা দেনার জন্যই এই ডাকাতির ছক কষেন দোকানের মালিক দেবকুমার বাবু নিজেই।