শান্তনু বিশ্বাস, বসিরহাট:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
১৭ ই জানুয়ারি বাদুড়িয়া শিশু পাচার কাণ্ডের বিচারাধীন বন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আলিপুর জেল থেকে বসিরহাট আদালতে আনা হলে আদালতের মধ্যেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সাথে সাথে তাকে কলকাতার SSKM হসপিটালে ভর্তি করা হয়। তবে এদিন রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর সেখানেই ১৮ ই জানুয়ারি দুপুরে তিনি মারা যান।
প্রসঙ্গগত ২০১৬ সালের ২১ নভেম্বরের রাতে বাদুড়িয়ার বাগজোলা এলাকার একটি নার্সিংহোম থেকে জুতোর বাক্সে রাখা ২ সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে CID। এমনকি সেদিন রাতেই শিশু পাচারের অভিযোগে নাজমা বিবি, উৎপলা ব্যাপারি, ঝন্টু বিশ্বাস, প্রভাত সরকার সহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং গ্রেফতার পাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসে। সোহন নার্সিংহোম থেকে শিশুপাচারের ঘটনায় সি আই ডি -র হাতে ওই নার্সিংহোমের বেশ কিছু সদস্যকেও গ্রেফতার করা হয়।
এরপর তদন্তে নেমে সি আই ডি জানতে পারেন বাদুড়িয়া ছাড়িয়েও দুই চব্বিশ পরগণা,কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলাগুলিতেও শিশুপাচার চক্রের জাল বিছানো রয়েছে। ওই সব স্থানে অভিযান চালিয়ে সি আই ডি শিশুপাচার কাণ্ডের ঘটনায় যুক্ত আরও ১৭-১৮ জনকে গ্রেফতার করে, পাশাপাশি বেশ কিছু শিশুকেও উদ্ধার করেন সি আই ডি। তবে এই সকল ধৃতদের মধ্যে কলকাতার কলেজস্ট্রিট এলাকার একটি নার্সিংহোমের মালিক ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতারের পর সকল পাচারকারী সহ পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও জেল হেফাজত হয়।