20 C
Kolkata
Saturday, December 2, 2023
spot_img

উল্টোডাঙ্গা পুলিশ থানার এক অফিসারের তৎপরতায় স্মৃতিশক্তি হারানো বৃদ্ধ ফিরে পেলেন পরিবার

অরিন্দম রায় চৌধুরী, কলকাতাঃ

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

ব্যারাকপুরের ট্র্যাফিক বিভাগের অফিসার সঞ্জীব নস্করের করা সামাজিক কর্মের পর এবার উল্টোডাঙ্গা পুলিশ থানায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। গতকাল অর্থাৎ ১৪ই জুনের ঘটনা। সকাল সোয়া দশটা নাগাদ উল্টোডাঙা থানায় খবর আসে, এক অজ্ঞাতপরিচয় বয়স্ক ব্যক্তি অর্ধচেতন অবস্থায় পাতিপুকুর বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতে পড়ে আছেন। বাইরে তীব্র রোদ আর গরম, তাতেই খুব সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

খবর পেয়ে থানার ডিউটি অফিসার সুজয় রায় প্রথমেই পুলিশের ‘ট্রমা কেয়ার’ অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেন। বয়স্ক মানুষটিকে যত দ্রুত সম্ভব আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক কিছু চিকিৎসার পর একটু সুস্থ বোধ করেন।

ইতিমধ্যেই ডিউটি অফিসার সুজয়বাবু হাসপাতালে পৌঁছে গেছেন। বৃদ্ধ মানুষটিকে তাঁর পরিচয়, ঠিকানা জিজ্ঞেস করা হলে, নিজের নাম ছাড়া আর কিছুই মনে করতে পারছেন না। শুদু নামটাই বলতে পেরেছেন ততক্ষণে যা হলো দুর্গাদাস ব্যানার্জি। পরনে ঘরে পরার সাদা জামা এবং লুঙ্গি। বয়স আনুমানিক আশি কিংবা তারও বেশি। বাড়ি কোথায়, কী কাজে বেরিয়েছিলেন, কোথায় যাচ্ছিলেন… মনে নেই কিছুই।

দুর্গাদাসবাবুর পোশাক দেখে সুজয়বাবু বুঝতে পারেন, তিনি সম্ভবত কাছেপিঠেই কোথাও থাকেন। আশেপাশের থানাগুলিকে দুর্গাদাসবাবুর ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয় হোয়াটস্যাপে। বলা হয়, সংলগ্ন এলাকাগুলোয় খোঁজ নিতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর আসে, লেকটাউন থানায় সুদেষ্ণা চ্যাটার্জি নামে এক মহিলা সকালে ফোন করে তাঁর বাবার নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গেই লেকটাউন থানার মাধ্যমে সুদেষ্ণাদেবীকে বৃদ্ধের ছবি পাঠানো হলে তিনি নিজের বাবাকে শনাক্ত করেন।

সুদেষ্ণাদেবীর থেকে জানা গেল তাঁর বাবা বেশকিছুদিন ধরে অ্যালজাইমার্স রোগে ভুগছেন। কিছুই বিশেষ মনে থাকে না। বয়সও হয়েছে ৮৫ বছর। চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আরও নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়েছে। তিনি গ্রিনপার্কে মেয়ে-জামাইয়ের কাছেই থাকতেন। সকালে কোনও এক ফাঁকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছেন। তারপর, চারপাশে খোঁজাখুঁজি করেও বাবার কোন হদিশ না পেয়ে থানায় মিসিং ডায়েরি করেন মেয়ে।

বাবাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মেয়ে-জামাই উল্টোডাঙা থানায় এলেন। নিয়ে গেলেন বাড়িতে। পারিবারিক মিলন মুহূর্তের সাক্ষী থাকলো এলাকাবাসীদের সাথে কলকাতা পুলিশের গর্বিত কর্মীরা কারণ তারাও তো কারোর ছেলে, কারোর বাবা বা কারোর স্বামী আর সব থেকে বড় কথা তারাও এই সমাজেরই একটি অঙ্গ।

Related Articles

Stay Connected

0FansLike
3,912FollowersFollow
21,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles