ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডেঃ
মাঠে বল নিয়ে লড়াই যদি বিশ্বকাপ ফুটবলের একটি দিক হয়‚ অন্যটি অবশ্যই এর রঙিন মোহময়ী হাতছানি। বল দখলের পাশাপাশি জমিয়ে হয় যৌন কেচ্ছা কেলেঙ্কারি। তৈরি হয় অজস্র ক্ষণস্থায়ী প্রেম পর্ব। সেইসঙ্গে যেকোনও বিশ্বকাপেই রমরমিয়ে চলে দেহব্যবসা। সেই আঁচ থেকে ব্যতিক্রম নয় রাশিয়ার বিশ্বকাপ ফুটবলও। তাছাড়া লাস্যময়ী হিসেবে নামডাক আছে রুশ সুন্দরীদের। তাই আগে থেকেই তাঁদের সতর্ক করেছেন পুতিন সরকারের শীর্ষস্থানীয় নেত্রী তামারা প্লেৎনোভা। তাঁর আবেদন, ভিন্ন বর্ণের বিদেশি পুরুষদের সঙ্গে যেন শরীরী মিলনে লিপ্ত না হন সেদেশের যুবতীরা। এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
রুশ সংসদের পরিবার বিষয়ক কমিটির শীর্ষ সদস্য স্পষ্ট জানান, বিদেশি, বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে মিলিত হলে সেই সন্তান হবে ভিন্ন বর্ণের। ফলে জন্মের পর থেকেই বৈষম্যের স্বীকার হতে হবে তাদের। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, বহু ক্ষেত্রেই গর্ভবতী হওয়ার পরে সঙ্গী পুরুষটি আর দায়িত্ব নেন না তাঁর সন্তানের। সেক্ষেত্রে একাই লড়াই করতে হয় ওই মায়েদের ।
এমন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেখানে ফিফা বর্ণবৈষম্য বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে, সেখানে আয়োজক দেশের একজন উচ্চপদস্থ রাজনীতিক এমন কথা কী করে বলতে পারেন? তাঁকে সংসদ থেকে বহিষ্কার করার দাবি উঠেছে। আবার অনেকে তামারার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন ।
এর আগে ১৯৮০ সালে অলিম্পিকের আসর বসেছিল রাশিয়ায়। সেই মস্কো অলিম্পিকে বহু রুশ মহিলাই বিদেশিদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হন। ফলপ্রসূ, বেশ কয়েক হাজার শিশুর জন্ম হয়। এই শিশুগুলি ছিল ভিন্ন জাতি ও বর্ণের মিশ্রণ। এই শিশুদের বলা হয় ‘চিলড্রেন অফ অলিম্পিক্স’।
এই শিশুদের প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করা হয় তামারাকে। তখনই তিনি রুশ তরুণীদের সতর্ক করেন। যাতে বিশ্বকাপের সময়ে তাঁরা ভিন্ন বর্ণ ও জাতির পুরুষদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত না হন।