ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডে:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
আজকের দিনে প্রায় বেশিরভাগ কম বয়সি মেয়েই এই ধরনের ত্বকের সমস্যায় ভুগে থাকেন। শুধু তাই নয়, এ এমন ত্বকের রোগ যা তাবড় সুন্দরীর সৌন্দর্য মলিন করে দিতেও সময় নেয় না। আর সৌন্দর্য কমবে নাই বা কেন বলুন! চোখের তলায় এমন কৃষ্ণ গহ্বর তৈরি হলে যে কারও সৌন্দর্য কমতে বাধ্য! অনেক কারণে ডার্ক সার্কেলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তবে মূল কারণগুলি হল স্ট্রেস, পর্যান্ত ঘুমের অভাব, হরমোনার ইমব্যালেন্স, অনিয়ন্ত্রিত জীবন এবং পারিবারিক ইতিহাস। তবে কারণ যাই হোক না কেন, চটজলদি কীভাবে এই ত্বকের সমস্যার চিকিৎসা করা সম্ভব, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা একান্ত প্রয়োজন।
১.টমেটো: একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত টমেটোর রস মুখে লাগিয়ে মাসাজ করলে ত্বকের ভিতরে বিশেষ কিছু উপাদানের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। যার প্রভাবে ডার্ক সার্কেল মিলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ত্বক নরম এবং উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। ফলে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে ১ চামচ টমেটোর রসের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি চোখের তলায় লাগানো শুরু করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মিশ্রনটি লাগানোর পর ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। এইভাবে দিনে দুবার ত্বকের পরিচর্যা করলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!
২.আলুর পেস্ট: চটজলদি ডার্ক সার্কেলের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতে চান তাহলে বন্ধু অল্প পরিমাণ আলু নিয়ে তার রসটা সংগ্রহ করে নিন। তারপর সেই রসে তুলো ভিজিয়ে চোখের উপর কিছু সময় রেখে দিন। ১০ মিনিট পরে তুলোটা সরিয়ে ফেলুন। এইভাবে নিয়মিত আলুর রসকে যদি কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন দু সপ্তাহের মধ্যে ডার্ক সার্কেল একেবারে মিলিয়ে গেছে। এক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা হল আলুর রসটি চোখের নিচে লাগানোর পর ঠান্ডা জল দিয়ে সারা মুখটা ধুয়ে ফেলতে ভুলবেন না যেন!
৩.টি-ব্যাগ: একেবারে ঠিক শুনেছেন! ডার্ক সার্কেলের মতো ত্বকের সমস্যার মোকাবিলায় টি-ব্যাগ বাস্তবিকই দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে গ্রিন টির একটি ব্যাগ কিছু সময় ফ্রিজে রেখে তারপর সেটি চোখের উপর কিছু সময় রেখে দিতে হবে। এই সময় কিন্তু শুয়ে থাকবেন। না হলে যে টি-ব্যাগটা পরে যাবে! অল্প সময় টি-ব্যাগটি চোখের উপর রাখার পর ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে মুখটা। প্রতিদিন যদি এই ঘরোয়া টোটকাটিকে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন ফল পাবেন একেবারে হাতে-নাতে।
৪.বাদাম তেল: এতে উপস্থিত ভিটামিন ই, ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ডার্ক সার্কেল কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ত্বক নরম এবং তুলতুলে হয়ে ওঠে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো। এক্ষেত্রে নিয়মিত অল্প পরিমাণ বাদাম তেল হাতে নিয়ে চোখের তলায় লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করতে হবে। তাহলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে। আর যদি রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে এমনটা করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই!
৫.ঠান্ডা দুধ: ডার্ক সার্কেল কমাতে যে যে প্রাকৃতিক উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হল কাঁচা দুধ। আসলে এর মধ্যে থাকা একাধিক উপাদান ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে কালো ভাব কমে যেতে সময় লাগে না। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ দুধ নিয়ে তাতে একটি তুলো চুবিয়ে চোখের তলায় লাগাতে হবে। কিছু সময় পরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে সারা মুখটা। এইভাবে যদি নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন ত্বকের সৌন্দর্য বাড়তে সময় লাগবে না।
৬.কমলা লেবুর রস: কয়েক চামচ কমলা লেবুর রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো গ্লিসারিন মিশিয়ে তা যদি চোখের তলায় লাগাতে পারেন, তাহলে একদিকে যেমন ডার্ক সার্কেলের প্রকোপ কমতে থাকে, তেমনি ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত হয়ে উঠতেও সময় লাগে না। তাই এক সপ্তাহের মধ্য়ে যদি ডার্ক সার্কেলের সমস্যাকে কমাতে চান, তাহলে এই ঘরোয়া চিকিৎসাটিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!