সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:
ঝাড়গ্রাম আদিবাসী মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির পরিচালনায় দু দিন ধরে পালিত হল "বাহা মাঃ মঁড়ে বঙ্গা" পুজো। এবছর বাহা মাঃ মঁড়ে বঙ্গা ৩৬ তম বর্ষে পা দিল। ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্র পার্কে ২১ এবং ২২শে এপ্রিল দুদিন ধরে মহা সমারোহের সাথে পালিত হল এই পুজো অনুষ্ঠান। সকলের কল্যানে এবং আগামীতে আরো ভালো ফসলের কামনায় এই পুজা অনুষ্ঠান আদাবাসী মানুষজনের কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সারা বছর ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন আদিবাসী সমাজের মানুষজনেরা। দূরদূরান্তের আত্মীয়,পরিজন বন্ধু বান্ধবেরা মিলিত হন এই পুজোকে কেন্দ্র করে। অতি পবিত্র এই পুজো অনুষ্ঠান ঘিরে এক সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি হয় ঝাড়গ্রাম শহরে। ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্র পার্কে আদিবাসী পুরুষ, মহিলারা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে ধামসা, মাদলের বোলে মেতে ওঠেন। ঝাড়গ্রাম আদিবাসী মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির পরিচালনায় দু দিন ধরে চলে বিশেষ এই পুজো।
২২শে এপ্রিল এই পুজো অনুষ্ঠান ঘিরে একটা মাত্র পেয়েছিল অরণ্য শহর ঝাড়গ্রাম। এদিন সকাল ৮টা নাগাদ শহরের আদিবাসী মার্কেট থেকে আদিবাসী মহিলা,পুরুষেরা মাথায় ঘট নিয়ে এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পাঁচমাথা মোড় হয়ে রবীন্দ্র পার্কে পৌছায়। সেখানে জাহের থানে শুরু হয় পুজা কে কেন্দ্র করে নানা অনুষ্ঠান। সারা দিন ধরে চলে পুজা অনুষ্ঠান।
কেবলমাত্র আদিবাসী মানুষজনই নয় সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধির কামনা করা হয় এই পুজাতে। প্রতৃতির এই পুজাতে সামিল হয় ঝাড়গ্রাম শহরের অনেক বিশিষ্ট মানুষ জন। সব মিলিয়ে দুই দিন ধরে আদাবাসী সমাজের এই পুজা অনুষ্ঠানকে ঘিরে মিলনের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল।
এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম আদাবাসী মার্কেট কল্যান সমিতির সম্পাদক জঞ্জেশ্বর হেমরম বলেন, "এই পুজোর মাধ্যমে সকলের সুখ,সমৃদ্ধি কামনা করি। আগামী দিন গুলি যাতে সকলের ভালোভাবে অতিবাহিত হয় তার জন্য কামনা করি ।" তবে ২২শে এপ্রিল ছুটির দিনে একটা আলাদা মাত্রা পেয়েছিল এই পূজো। পূজোকে কেন্দ্র করে ৮ থেকে ৮০ সকলের মধ্যে ছিল উৎসাহ।