Bengal Today Desk, Barrackpore , ২৬শে মে ২০২৩ : ২৪শে মে, বুধবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকায় সোনার দোকানে ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই দোকানের মালিকের ছেলের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন।
ঘটনাস্থলে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা ।।
এদিকে এই সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনা তদন্তে নেমে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা লাল জামা পড়া এক ব্যক্তিকে খুঁজছে। ওই ব্যক্তি সোনার অলংকারের হলমার্কের কাজ করেন। ঘটনার দিন সে মাথায় হেলমেট পড়ে এসেছিল, আর সে দোকানে প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুষ্কৃতীরা সেখানে হাজির হয়েছিল।
এই ঘটনার সঙ্গে মাথায় হেলমেট পড়া ওই ব্যক্তির কোনো যোগসাজশ আছে কিনা তা গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছে। এরইমধ্যে ব্যারাকপুর পুলিশ ২ জন আততায়ী কে ধরতে সক্ষম হয়েছে। এদের মধ্যে একজন কামারহাটির বাসিন্দা সফিক খান (২৮) কে খড়দহ এলাকার রহড়ার একটি বহুতলের কাছ থেকে আটক করে পুলিশ এবং অপরজন জামসেদ আনসারি (২৯) কে বীরভুম জেলার মুরারই এলাকা থেকে ব্যরাকপুর পুলিশের স্পেসিয়াল ইনভেস্টিগেশন টিম ধরে আনে।
সুত্র মারফৎ খবর এই ঘটনার পূর্বেই পরিকল্পনা মাফিক এই সফিক খান একটি অনলাইন বিপনি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে হাওড়ার উলুবেড়িয়া এলাকা থেকে একটি বাইকও কেনে যা নিয়েই সেদিন এই ঘটনা ঘটায় এই আততায়ীর দল। সুত্র মারফৎ খবর এই ঘটনার পূর্বেই পরিকল্পনা মাফিক এই সফিক খান একটি অনলাইন বিপনি প্রতিষ্ঠান থেকে হাওড়ার উলুবেড়িয়া এলাকা থেকে একটি বাইকও কেনে যা নিয়েই সেদিন এই ঘটনার কিছু দিন পূর্বেই ওপর বাকি দুজন আততায়ী যারা ঝারখন্ডের বাসিন্দা তাদের হাওড়া ষ্টেশন থেকে এই ধৃত দুইজন ব্যারাকপুরের নিয়ে আসে আর তারপর গত ২৪শে মে সন্ধ্যে ৬টার সময় ব্যারাকপুরের অন্তর্গত আনন্দপুরি এলাকার উক্ত সোনার দোকানে গিয়ে ঘটনা ঘটায় এই আততায়ীর দল।
ঘটনার ঘটার পরই ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। সেখান থেকে নমুনা সগ্রহ করে জানা যায় যে মোট ৪টে গুলি চালায় এই দুষ্কৃতীর দল যার একটি সোজা নিলাদ্রির ডান কাধে গিয়ে লাগে, ফলে আড়াআড়ি ভাবে গুলিটি নিলাদ্রির ডান কাধ দিয়ে ঢুকে তার ফুসফুস ভেদ করে হৃদ পিন্ডে গিয়ে ঠেকে, প্রান গেল এক তরতাজা ২৮ বছরের যুবকের।
গত বছর আটই ডিসেম্বর নিহত নিলাদ্রির বিবাহ করেছিল আর এ বছরই তার প্রথম জামাইষষ্ঠী ছিল। ২৫শে মে, নিলাদ্রির শ্বশুরবাড়িতে প্রথম জামাই ষষ্ঠী পালন করতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৪শে মে, ঠিক জামাই ষষ্টির আগের দিনই এই দুষ্কৃতিদের হাতে বেঘোরে প্রান দিতে হল তাকে, , রেখে গেল অনেকগুলো প্রশ্ন। দুষ্কৃতিরা ডাকাতি করার জন্য সোনার দোকানে ঢোকে কিন্তু কিছু না নিয়ে শুধু শুধু একটি ছেলেকে কেন গুলি করে মারলো? দোকানে সেই সময় তো অনেকেই ছিল তাদের ছেড়ে শুধু নিলাদ্রিকেই কেন বাছলো মারার জন্য। যদিও জানা যাচ্ছে গুলির আঘাতে দোকানের সিকিউরিটি গার্ডের পায়েও চোট লেগেছে। এখন দেখার ব্যারাকপুর পুলিশ এই ঘতনার তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা কি সাধারন মানুষের সামনে আনটে পারে।