
জনপ্রিয়তার মূল্যায়নে কার কত নম্বর
প্রশান্ত কিশোরের টিম এবার বিধায়কদের জনপ্রিয়তার মূল্যায়ন করছে। সেই জনপ্রিয়তার মূল্যায়নে কে কত নম্বর পাবেন, তার উপর নির্ভর করবে আসন্ন ২০২১ নির্বাচনে তাদের টিকিট পাওয়া। প্রায় ছ’মাস ধরে প্রশান্ত কিশোর ও তাঁর টিম বাংলাজুড়ে মূল্যায়ন করে চলেছে। মূল্যায়নের রিপোর্ট প্রস্তুত। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই এবার টিকিট মিলবে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ভাবমূর্তিতেও গুরুত্ব
প্রশান্ত কিশোরের এই সমীক্ষায় অনেক বিধায়ক যে ফেল করবেন, তা নিশ্চিত। প্রশান্ত কিশার ও তাঁর টিমের এই প্রয়াসের এক গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড হ’ল বিধায়কদের ভাবমূর্তি নিরীক্ষণ করা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের চূড়ান্ত করার আগে ছয় মাস ধরে প্রশান্ত কিশোর সেই কাজটাই করে গিয়েছেন। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ভাবমূর্তিও গুরুত্ব পেয়েছে এই মূল্যায়নে।

পিকের উদ্যোগ ভালো-খারাপ দুই-ই আছে
প্রশান্ত কিশোরের এই উদ্যোগ একদিক দিয়ে যেমন ভালো করবে, আবার অপরদিকে ক্ষোভের সঞ্চার করবে। প্রশান্ত কিশোরের মূল মন্ত্র স্বচ্ছতা। তিনি তৃণমূলের দায়িত্ব নিয়েই স্বচ্ছতায় জোর দিয়ে্ছিলেন। কিন্তু আদতে দেখা গিয়েছে অনেক বিধায়কই স্বচ্ছ নন। তাঁদের আরও মাথাব্যথা। আবার একথাও ঠিক, স্বচ্ছ না হলেও দগলীয় সংগঠন সামলানোয় অনেকেই বিরাট দক্ষ। ফলে তাঁদের সাইড করে রাখলে প্রভাব পড়বেই।

প্রশান্ত কিশোরের কৌশল নিয়ে ধন্দ তৃণমূলে
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কিশোরের এই প্রস্তাবটি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব খুব গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করবে। নির্বাচনের মাধ্যমে বিধায়ককে আবারও প্রার্থী করা হবে কিনা ঠিক হবে। সেটা আবার তৃণমূলে মধ্যে বিপরীত প্রভাবও ফেলতে পারে। অনেক বিধায়ক ইতিমধ্যেই এর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। স্বভাবতই প্রশান্ত কিশোরের এই কৌশল নিয়ে তৃণমূলেই রয়েছে ধন্দ।

বামেদের প্রস্তাবে পিকের প্রতি ক্ষুণ্ণ তৃণমূলীরা
তৃণমূলের আর একটা ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, আই-প্যাক কয়েকটি অঞ্চলে বাম নেতাদের প্রস্তাব দিয়েছেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য। তাঁদের বেশিরভাগ প্রাক্তন বিধায়ক। তাঁদেরকে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিট সরবরাহের প্রস্তাব দিয়ে দলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। এবং ক্ষমতায় এলে তাঁদের কয়েকজনকে মন্ত্রী করারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

তৃণমূল কী করে এই প্রতিকূলতা জয় করবে
এই ঘটনা তৃণমূলের বিধায়ক এবং দলের মধ্যেই তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষুব্ধ করেছে। ফলে এর একটা খারাপ প্রভাব পড়বে। অন্যদিকে বিজেপি মুখিয়ে আছে কখন কোন্দল তীব্র হবে তৃণমূলে। তৃণমূলের টিকিট পাওয়া নিয়ে কোন্দল শুরু হলেই টোপ দিয়ে মাছ তুলে নেবেন বিজেপিত ওঁত পেতে বসে থাকা নেতারা। এই অবস্থায় তৃণমূল কী করে এই প্রতিকূলতা জয় করে পালে হাওয়া আনতে পারে।