
সংসদ বয়কটের কৌশল ফেল
সংসদ বয়কটের কৌশল ফেল করে এবার পথে নেমে সরকারের ভিত নাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা শুরু করল কংগ্রেস। এই আন্দোলনের অংশ হিসাবে কংগ্রেস এই বিলের বিরোধে ২ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করবে। এর আগে বুধবার ১৮ টি রাজনৈতিক দলের নেতারা বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে। সেখানেই তাঁরা সমস্বরে ফের রব তোলেন যে এই বিল কৃষকবিরোধী। এরপরই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই বিষয়ে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরোধীরা।

কংগ্রেসের আন্দোলন পরিচালনার দায়িত্বে কারা
এদিকে কংগ্রেসের এই আন্দোলন পরিচালনার জন্যে সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ছয় সদস্যের বিশেষ কমিটির উপরই দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে এই কমিটিই কংগ্রেসেরও সাংগঠনিক দায়িত্ব ভার সামলেছেন। এ কে অ্যান্টনি, আহমেদ প্যাটেল, অম্বিকা সনি, কেসি ভেনুগোপাল, মুকুল ওয়াসনিক এবং রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বিশেষ কমিটির সদস্য। এছাড়া এই আন্দোলনের দিক নির্দেশনার বিষয়ে দলকে পরামর্শ দেবেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।

কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ
বিরোধীদের অভিযোগ, বিল আনার আগে সরকারের উচিত ছিল সব রাজনৈতিক দল ও কৃষিক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সহ সবার মতামত নেওয়া। বিরোধীরা বিলটি স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে এই বিলটি স্ট্যান্ডিং কমিটি বা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়নি। এমনকী সরকার এই বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোরও অনুমতি দেয়নি।

সরকারের কাছে বিরোধীদের দাবি
বিরোধীদের দাবি, সরকারের নির্ধারিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের কম দামে শস্য সংগ্রহ করতে পারবে না বেসরকারি সংস্থাগুলি, এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কেন্দ্রকে একটি বিল আনতে হবে। এম এস স্বামীনাথন কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। এই দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন জারি রাখবেন বলে জানিয়ে দেন।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিরোধীদের সাক্ষাৎ
এদিকে বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় সংশোধনীর জন্য সংসদে জোর করে পাশ করানো কৃষি বিলগুলোকে ফেরত পাঠানোর জন্য মাননীয় রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছি।’ ১৮টি বিরোধী দল তাদের দাবির সমর্থনে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে।