এবছর মহালয়ার একমাস পরে দুর্গাপুজো। কিন্তু তার স্বত্তেও আড়ম্বরের সঙ্গে দুর্গা পুজো করতে পারছে না পুজো কমিটিগুলো। করোনা পরিস্থিতি যেন এই আড়ম্বরের বাধার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই করোনা পরিস্থিতিতে মহালয়ার একমাস পরে দুর্গাপুজো হলেও ঝাঁ-চকচকে আলোক রোশনাই, রকমারি পূজা মন্ডপ, আর সুসজ্জিত মাতৃ প্রতিমার বদলে করোনা মোকাবিলায় কি কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় তারই উদ্যোগ নিচ্ছে পুজো কমিটিগুলো। তাই এবার করোনাসুর নিধনে অভিনব কামান বসাবে মুদিয়ালি দুর্গোৎসব কমিটি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

পুলিশ প্রশাসন পুজোর কমিটিগুলির কাছে জানাতে চাইছে করোনা মোকাবিলায় কি কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে মুদিয়ালি ক্লাবের পরিকল্পনা করোনা ক্যানন বসানোর। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী স্যানিটাইজার টানেল বসানো যাবে না। তা না হলে মুদিয়ালি পুজো কমিটি আগে স্যানিটাইজার টানেল বসাবে বলেই ঠিক করেছিল। এমনিতেই এবার বাজেটে টান তবুও দর্শকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইমপোর্ট করা করোনা ক্যানন বসাচ্ছে মুদিয়ালি পুজো কমিটি।
তবে মুদিয়ালি পুজো কমিটি জানিয়েছে, এটা এবারের পুজোর থিম নয়। এবার দুর্গা পুজোয় সত্যিকারের ‘করোনা ক্যানন’ বসানো হবে এই পুজোয়। এতদিন পর্যন্ত মশা মারতে কামান দাগার কথা শুনেছেন এবার দেখবেন করোনা মারতে কামান দাগা হয় কিভাবে।
এটা স্পষ্ট এবছরের দুর্গা পুজো বিগত বছরগুলোর মতো হবে না। তার কারণ করোনা কাঁটা। মুদিয়ালি পুজো কমিটি সত্যিই করোনা তাড়াতে কামান বসাচ্ছে পুজো মণ্ডপে। এটা কি আসলে করোনা তাড়ানোর যন্ত্র ?
উত্তরে জানা গিয়েছে, প্রায় হাজার বর্গফুট এলাকায় করোনা ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে করোনা ক্যানন। কামানের মতো দেখতে এই মেশিন দেখতে এই মেশিন হাইপার চার্জ হাই ভেলোসিটি ইলেকট্রন তৈরি করে এবং সেটি এস প্রোটিনের সঙ্গে নেগেটিভ বা নেতিবাচক শক্তি হিসেবে বিক্রিয়া করে জীবাণু ধ্বংস করে।