মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে পাহাড়প্রমাণ ১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্স। মঙ্গলবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ২১৭ রান তাড়া করে অন্তত দারুণ একটা লড়াই দিয়েছিল চেন্নাই। সৌজন্যে ডুপ্লেসিস(৭২রান)। এদিন অবশ্য কেকেআরের হয়ে সেই ভূমিকায় কেউ ত্রাতা হয়ে উঠতে পারলেন না।
![আইপিএল ২০২০: ৭ বছর পর ফ্যানেদের হতাশা উপহার দিয়ে যাত্রা শুরু কেকেআরের! মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বড় হার আইপিএল ২০২০: ৭ বছর পর ফ্যানেদের হতাশা উপহার দিয়ে যাত্রা শুরু কেকেআরের! মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বড় হার](https://bengali.oneindia.com/img/2020/09/xbefunky-collage-2020-09-23t234315-344-1600884800.jpg.pagespeed.ic.hMwC3XhqQv.jpg)
তিন নম্বের নেমে দীনেশ হোক বা মিডল অর্ডারে মর্গ্যান-রাসেল! মুম্বইয়ের ক্ষুরধার বোলিংয়ের সামনে নাইটদের সব ব্যাটসম্যানই এদিন সিংহ থেকে বিড়াল!
তারকা বিদেশিদের ১৫.৫ কোটিতে দলে নিয়ে কেকেআর যতই গর্ব করুক না কেন,দিনের শেষে হার দিয়ে ১৩ তম আইপিএলে অভিযান শুরু করল কেকেআর। মুম্বইয়ের কাছে কেকেআর ম্যাচ হারল ৪৯ রানে। নির্ধারিত ২০ ওভারে কেকেআর ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলতে পারে।
সেই সঙ্গে ৭ বছর পর ফ্যানেদের বড়সড় হতাশা উপহার দীনেশদের। ২০১৩ সাল থেকে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে হারে নি কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেখানেই এদিন ম্যাচ হেরে সেই পরিসংখ্যানে দাঁড়ি টেনে দিল নাইটব্রিগেড।
টি-২০ ক্রিকেটে অঙ্ক কষে রান তাড়া করতে ১৯৬ রান হাঁকানো অসম্ভব নয়, সেখানেই বড় হিট না হাঁকিয়ে শুরু থেকে পিছিয়ে পড়ে কেকেআর। ইনিংসে প্যাট কামিন্স শেষদিকে তাঁর ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ৪টে ও বাকিরা সবাই মিলে ৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। উল্টে দিয়ে এদিন রোহিত একাই ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে মর্গ্যান-কামিন্স, বড় নামি ক্রিকেটার এনে তাঁরা ব্যাটে-বলে ফল না দিতে পারলে আগামী দিনে নাইটদের আরও সমস্যা অপেক্ষা করছে।
ম্যাচে এদিন রান তাড়া করতে নেমে কেকেআরের হয়ে কামিন্স সর্বোচ্চ ৩৩ ও দীনশ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন। মর্গ্যান ১৬, রানা ২৪ ও রাসেল ১১ রান করেন। ১৬ তম ওভারে ম্যাচ ঘোরানো পারফর্ম্যান্স জসপ্রীত বুমরাহের। ওভারে দ্বিতীয় বলে রাসেলকে বোল্ড ও চতুর্থ বলে স্লোয়ারে মর্গ্যানকে উইকেটকিপারের হাতে আউট করান বুমরাহ। ৪ ওভারে ৩২ রান খরচে বুমরাহ ২টি উইকেট নিয়েছেন।