ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডে:
বর্তমানে যে কোন শারীরিক সমস্যার এক কথায় সমাধান হল গ্রিন টি। এমনকি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রেও চিকিৎসকরাও গ্রিন টি-র কথা বলেন। বিগত এক দশকে এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্রিন টি। কিন্তু এখন গ্রিন টি-র থেকেও স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে ব্লু টি। তবে এখনও কেউই সেভাবে জানে না ব্লু টি সম্পর্কে। অথচ গ্রিন টি-র মতোই স্বাস্থ্যকর ব্লু টি।
মূলত নীল কড়াইশুঁটির ফুল, ক্লিটোরিয়া টারনেটি থেকে তৈরি হয় ব্লু টি। আর একে এশিয়ান পিজিয়ন উইংগস বা ব্লুবেল্ভাইন বলে। এই চায়ের চাষ একমাত্র এশিয়াতেই হয়। যদিও ভারতীয়রা নীল কড়াইশুঁটির ফুলকে অপরাজিতা ফুল হিসেবেই চেনে। এমনকি এই চায়ের কষ্টা স্বাদের জন্য বা তাঁর নীল রঙয়ের জন্য অনেকেই তা পছন্দ করেন না কিন্তু এই চা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি। যদি আমরা ব্লু টি এর গুনাগুন বা উপকারিতার বিষয়ে কথা বলি সেক্ষেত্রে ব্লু টি গ্রিন টি-র মতোই ভাল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। তাছাড়া এর মধ্যে সাইক্লোটাইড-এর অ্যান্টি এইচআইভি, অ্যান্টি-টিউমার গুণও রয়েছে।
এর পাশাপাশি ব্লু টি লিভারে বাইল তৈরিতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ হজমে সাহায্য করে। বমি ভাব কাটানোর কাজেও আসে ব্লু টি। এমনকি ব্লু টি-র অ্যান্টি-গ্লাইসেটিন গুণের জন্য এটা ত্বকের পক্ষে খুবই ভাল। এর মধ্যে থাকা ফ্লাভনয়েড ত্বকে কোলাজেন তৈরি করে ইলাসটিসিটি বাড়ায়। বলিরেখা পড়তে দেয় না। আবার অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় চুল পড়ার সমস্যাতেও কাজ করে ব্লু টি। স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে হেয়ার ফলিকলের বৃদ্ধি ঘটায়। ব্লু টি ব্রেইন বুস্টার হিসাবেই কাজ করে। অর্থাৎ ব্লু টি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। উৎকণ্ঠা কমাতে ও অবসাদ কাটাতেও সাহায্য করে।