শান্তনু বিশ্বাস, গোবরডাঙ্গাঃ নতুন সরকার ফের প্রমাণ করে দিল যে পুরসভা শুধুমাত্র যে জল, রাস্তা, ড্রেনেজ, বাড়ির সামনের রাস্তায় আলো পৌচ্ছে দেওয়া বা ময়লা পরিষ্কার করা ও ব্লিসিং ছাড়ানো পর্যন্তই সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থার কথা ভাবা যায় তা এই রাজ্যের মুখ্যমন্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দেখিয়ে দিলেন।
হাউস ফর অল অর্থাৎ সবার জন্য ঘর এই প্রকল্পের ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি পৌরসভার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বৃষ্টির সময় ঘর থেকে জল পরে, শীতের সময় ঘরের জন্য শীতে কষ্ট পায় এমন পরিবার গুলোর জন্যই এই নতুন প্রকল্প। গোবরডাঙ্গা পুরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ঝর্ণা রায়, প্রণবেশ বিশ্বাস, শেফালী সাধুকা এরা সকলেই যমুনার পাড়ের ভট্টাচার্য্য পাড়ার বাসিন্দা শীতের সময় শীতে কষ্ট, বৃষ্টির সময় ঘর থেকে জল পরা এটা এক প্রকার মানিয়েই নিয়েছিলেন। বৃষ্টি মৌরসুমে গোবরডাঙ্গা পুরসভায় যেতেন একটা ত্রিপলের জন্য এটাই ছিল প্রতিবছরের অভ্যেস। তবে বর্তমানে তৃণমূল সরকারের পরিচালিত পুরবোর্ডের হাতে হাউস ফর অল প্রকল্প হাতে আসার সাথে সাথে যমুনার পারের ঝর্ণা রায়, শেফালী সাধুকার মুখে হাসি ফুটেছে।
ঝর্ণা রায় বলেন, মাথার উপর ছাদ হবে কোন দিন আশা করিনি। তাঁরা সকলেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।এই প্রকল্প বাস্তবায়নে গোবরডাঙ্গা পুরসভা যথেষ্ট এগিয়ে আছে বলে দাবি পুরসভার পুরপ্রধান সুভাষ দত্তের। গোবরডাঙ্গা পৌর এলাকায় মোট চার হাজার পাঁচশটি গরীব পরিবার হাউস ফর অল প্রকল্পের আওতায় আসবে। ইতিমধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় দফা মিলিয়ে মোট তেইশো বাড়ি তৈরি হয়েছে।
পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত বলেন, "রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে আওয়তায় আনা হয়েছে। যাদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, এই ঘরের পরিষেবার ক্ষেত্রে কোন জাতপাত দেখা হয়নি, যেমন অনেক তাপশিলি মানুষ ঘর পেয়েছে আবার অনেক মুসলিম পরিবারও এই নতুন প্রকল্পে ঘর পেয়েছে। সরকারি ঘর পেয়ে খুশি গোটা গোবরডাঙ্গা পৌরসভার নাগরিক।
"