ওয়েব ডেস্ক, বেঙ্গল টুডেঃ রাত সাড়ে বারোটা। আগুন লাগে গড়িয়াহাটের বহুতলে। পুড়ে যায় একাধিক দোকান। আগুন লাগার আধঘণ্টা পর থেকেই কাজ করছে দমকলের ১৯টি ইঞ্জিন ও ল্যাডার। রাত পেরিয়ে সকাল হল। কিন্তু তারপরেও বাগে এল না আগুন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সারারাত আগুন নেভানোর কাজ করেছে দমকল, যা সকালেও চলছে। বোঝা যাচ্ছে না কতদূর ছড়িয়েছে আগুন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ধোঁয়া দেখে বাইরে এসে দেখেন আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানেও। কীভাবে আগুল লাগল তা তাঁরা জানেন না। এক এক করে দমকলের ১৯টি ইঞ্জিন আসে। একটি প্রসিদ্ধ কাপড়ের দোকান গোডাউন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দোকানের উপরতলার আগুন নেভানোর জন্য টেলেভিশনারি প্রাইভেট লিমিটেডের গ্রিল কেটে ভিতরে ঢোকেন দমকলের কর্মীরা। সেখানে আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
অপরদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে পৌঁছান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি জানান, দমকলের ১৯টি ইঞ্জিন কাজ করছে। অনেক দোকান জ্বলছে। কীভাবে আগুন লাগল তা পরিষ্কার নয়। এখানকার ব্যবসায়ীরা এলাকাকে জতুগৃহ করে রেখেছে। ফলে সহজেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত হবে। ট্রেডার্স অ্যাসেম্বলির রতন কুমার সাহা বলেন, "আগুন লাগার খবর পেয়ে বাইরে এসে দেখি আমাদের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। কোনও দোকান থেকে আগুন লেগেছে বলে মনে হয় না। রাস্তার কোনও অংশ থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। প্রচুর টাকার ক্ষতি হয়ে গেল।"
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওই বিল্ডিংয়ের পাশের একটি ঝুপড়িতে প্রথমে আগুন লাগে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্রসিদ্ধ কাপড়ের দোকানের বিল্ডিংয়ে। তবে দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।