ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডে:
বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমের ব্যবস্থা করেও চিকিৎসকদের গরহাজিরায় রাশ টানা যাচ্ছে না। অনেকেই ইন পাঞ্চ করে ছুট দিচ্ছেন প্রাইভেট চেম্বারে। আবার যথাসময়ে এসে করছেন আউট পাঞ্চ। যাঁদের আবার কলকাতায় বাড়ি তাঁরা শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকছেন। ফলে সমস্যা বাড়ছে শিলিগুড়ি হাসপাতাল ও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। আর তাই এবার অনুপস্থিতির রাশ টানতে উদ্যোগী হলেন স্বাস্থ্য দপ্তর। এবিষয়ে হাসপাতাল সুপার ও মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালকে আরও বেশি করে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
চিকিৎসা পরিষেবা খতিয়ে দেখতে ২৪ শে ফেব্রুয়ারি প্রথমেই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য দপ্তরের শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য এবং হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখেন। সেখান থেকে রওনা দেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এরপর দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালের সুপার ও প্রিন্সিপালের সঙ্গে বৈঠক করেন। এমনকি সেখানকার পরিকাঠামোও খতিয়ে দেখেন তিনি।
দেবাশিসবাবু বলেন, "বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স বসানো হয়েছে আগেই। এছাড়াও, কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি করে উদ্যোগী হতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল পরিষেবার উন্নতি করাই আমাদের লক্ষ্য। কারন পরিকাঠামো যথেষ্ট ভালো,তাকে কাজে লাগাতে হবে।"
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে শিক্ষার পরিকাঠামোর আরও উন্নতি করা প্রয়োজন। এর জেরে নতুন বিল্ডিংও তৈরি হচ্ছে। সেখানে সুপার স্পেশালিটি ডিপার্টমেন্ট দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।" এমনকি বন্ধ থাকা ট্রমা সেন্টারটি মার্চে খোলা হবে বলেও তিনি জানান। সেইসঙ্গে মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।