অর্ণব মৈত্র, বসিরহাটঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাস এডুকেশন দপ্তর পরিচালিত ধান্যকুড়িয়া রাষ্ট্রীয় কল্যাণ আলয়ের ভবন সংস্কারের জন্য পুজোর আগেই হোম এর আবাসিক মেয়েদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করার কাজে হাত দিয়েছিলেন হোম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো নোটিশ ছাড়াই সেই উদ্যোগ নেওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো হোমের আবাসিক মেয়েরা। আর তাই পূজোর ছুটিতে পাঠিয়ে সেই কাজ সম্পন্ন করে হোম কর্তৃপক্ষ। তবে পূজোর ছুটি কাটিয়ে গত ১১ই নভেম্বর হোমে ফেরে মেয়েরা। কিন্তু মেয়েদের হোমে ঢুকতে না দেওয়ায় হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে আন্দোলনের পথে হাঁটে হোমের মেয়েরা সহ তাদের অভিভাবকরা।
বসিরহাট ধান্যকুড়িয়া রাষ্ট্রীয় কল্যাণ আলয়ের মেয়েদের আন্দোলন থেকে সরাতে গত ২১শে নভেম্বর বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠক করেন ব্লক প্রশাসন। সেখানেই হোমের মেয়েদের স্থানান্তরিত করার সঠিক কারণ দেখিয়ে নোটিশ দেওয়ার আবেদন জানান অভিভাবকরা। আর সেই মতো মাস এডুকেশন দপ্তরের পক্ষ থেকে নোটিশ ঝুলানো হয় হোমের গেটে। হোমের জরাজীর্ণ পরিস্থিতির জন্যই মেয়েদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে।
হোম সংস্কারে কতদিন লাগবে সে বিষয়ে কোনো কিছু উল্লেখ না থাকলেও সংস্কারের কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত মেয়েদের পছন্দমত হোমে পাঠানো হবে বলে জানান বসিরহাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ। এর জেরেই গত ২১শে নভেম্বর বিডিও অফিসে মিটিং করার পর থেকেই মেয়েদের ল্যাগেজ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে হোম কর্তৃপক্ষ। হোমের অধিকাংশ মেয়েকে শিয়ালদহ 'রিফিউজ' হোমে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিডিও।