ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডে:
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডি লিট এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডি লিট দেওয়ায় জনগণের কোনও ক্ষতি হয়নি। এই মামলার সঙ্গে জনস্বার্থের কোনও যোগ নেই। বিষয়টি আদালতের বিচার্যও নয়।' এছাড়া তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে ডি লিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সেনেট ও সিন্ডিকেট। কিন্তু এই মামলায় তাদেরকেই যুক্ত করা হয়নি। মূলত সবপক্ষের বক্তব্য না শুনে আদালতের পক্ষে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব নয়।
মূলত প্রতিবছর বার্ষিক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃতী মানুষদের সাম্মানিক ডি লিট উপাধি দেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সাহিত্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই উপাধি পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য বিগত ১১ ই জানুয়ারি নজরুল মঞ্চে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে সাম্মানিক ডি লিট উপাধি তুলে দিয়েছেন রাজ্যপাল তথা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠি।
তবে অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে এই সাম্মানিক ডি লিট দেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিল বিরোধীরা, তেমনই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। আর সেই মামলাটি করেছিলেন শিক্ষাবিদ মঞ্জুগোপাল মুখোপাধ্যায়। কিন্তু, দীর্ঘ শুনানির পর সেই মামলাটি খারিজ করে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য। পাশাপাশি বিচারপতি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীকে সাম্মানিক ডি লিট দেওয়ায় জনগণের কোনও ক্ষতি হয়নি। এই মামলার সঙ্গে জনস্বার্থের কোনও যোগ নেই। তাই বিষয়টি আদালতের বিচার্যও নয়।"এবং এই মামলায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট ও সিন্ডিকেটকে যুক্ত না করার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, এরআগেও ২০০৭ সালে রাজ্যের আর এক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে সাম্মানিক ডি লিট উপাধি দিয়েছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু, তখন বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকলেও, জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। সেদিক থেকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্মানিক ডি লিট প্রাপ্তি নজিরবিহীন।