শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়া:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
সম্প্রতি হাবড়া থানার অন্তর্গত মধ্যমগ্রামে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারের মারে এক গারমেন্ট ব্যবসায়ীর মৃত্যুকে ঘিরে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়দের দাবীতে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। একদিকে যখন মানুষ পুলিশের হিংস্র রূপ দেখতে পাচ্ছেন ঠিক অপরদিকে পুলিশের চরিত্রের অন্যনজির গড়ল হাবড়া থানার পুলিশ। অর্থাৎ তাঁরা যেমন চোর, ডাকাত ধরতে সক্ষম ঠিক একইরকম তাঁরা সমাজপ্রেমীও। সরস্বতী পুজোর পরের দিন অর্থাৎ ২৩ শে জানুয়ারি হাবড়া থানার অন্তর্গত বদর আটুলিয়া সর্দার পাড়ায় বসবাসকারী কিছু গরীব দুস্থদের বস্ত্র প্রদান করেন।
মূলত ২৩ শে জানুয়ারি অর্থাৎ সরস্বতী পূজোর পরের দিন হাবড়া থানার এ এস আই বিশ্বজিৎ সরকার সহ থানার অন্যান্য সদস্যরা হাবড়া থানার অন্তর্গত পৃথীবা পঞ্চায়েত এর বদর আটুলিয়া সর্দার পাড়ায় ষাট জন গরীব মানুষকে কম্বল দান করলেন। পাশাপাশি গরীব বাচ্চাদের কিছু পুরনো জামা কাপড়ও দেন।
প্রসঙ্গগত হাবড়া থানায় কর্মরত এ এস আই বিশ্বজিৎ সরকার ডিউটি করতে প্রায় বেশ কয়েকবার আটুলিয়ার আদিবাসী পাড়াতে যেতেন। এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষদের দেখে তার ভিতরের মানবতা জেগে ওঠে। বিশেষত সম্প্রতি ঠাণ্ডা পরার দরুন যখন তিনি সেখানে যান এবং সেখানকার মানুষদের অবস্থা দেখে তার মন কেঁদে ওঠে। এর দরুনই তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে এদিন ষাট জন গরীব মানুষকে কম্বল দান করলেন। পাশাপাসি দুস্থ শিশুদেরও জামা কাপড় দেন। এক্ষেত্রে এ এস আই বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, নিজের মায়নার টাকা খরচ করে দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন তিনি। অপরদিকে পুলিশকে বন্ধু রুপে পেয়ে গ্রামের মানুষ খুবই খুশি ও আনন্দিত গোটা এলাকার মানুষ জন।