Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
মিজান রহমান, ঢাকাঃ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। মেধা প্রয়োগ করে উদ্ভাবনী শক্তি দ্বারা দেশকে কীভাবে উন্নত করা যায় সে চিন্তাভাবনা নিয়েও যেন স্ব স্ব ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন সেটাই আমরা চাই। ২৩শে জুলাই, সোমবার “জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস” উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ৩৯ জন সরকারি কর্মচারী ও ৩ প্রতিষ্ঠানকে “জনপ্রশাসন পদক-২০১৮” পদক ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সরকারি চাকরিতে কর্মরত সবাইকে সরকারের কর্মচারী হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধান এক্ষেত্রে কোনো বিভাজন উল্লেখ করেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সরকারি কর্মচারীরা, কর্মচারী এ কারণে বলছি, সংবিধানে কিন্তু সরকারি কর্মচারী কথাটা উল্লেখ আছে অর্থাৎ, গভর্নমেন্ট সার্ভেন্ট। আপনাদের অবশ্য এটা ভাগ করে ফেলা হয়েছিল, কিন্তু আমরা এখন সংবিধানে যা আছে তাই বলি”।
সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি সহ নানা সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টির ক্ষেত্রে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারি কর্মচারীরা যেন ভালোভাবে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেজন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা সরকারি কর্মচারীদের বেতন ১২৩ ভাগ বেতন একবারে বৃদ্ধি করেছে বলে আমরা জানি না, কিন্তু সেটা আমরা করে দিয়েছি। আর যারা গাড়ি পান না তাদের জন্য ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। এখন নিজেরা বাড়ি তৈরি করতে ব্যাংক থেকে যাতে ঋণ নিতে পারে সেজন্য আমরা সুযোগ সৃষ্টি করেছি। আর সবচেয়ে বড় কথা আবাসন সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন নতুন ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সরকারি কর্মচারিরা যথেষ্ট মেধাবী। মেধা আছে বলেই তারা পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাচ্ছেন। কাজেই তাদের মেধা, তাদের যোগ্যতা, তাদের দক্ষতাকে আমাদের দেশ গড়ার কাজে যেমন লাগাতে হবে তেমনি তাদের গুণাবলী ও উদ্ভাবনী শক্তিরও মূল্যায়ন করতে হবে। এসব লক্ষ্য রেখেই আমরা যেমন পদোন্নতি দিয়ে থাকি এবং আজকের যে পুরস্কার বিতরণ সেটাও সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা করে যাচ্ছি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম এবং জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহমদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।