শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ
বর্তমানে মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন রকম শারীরিক অসুস্থতাও দেখতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ বিভিন্ন রকম রোগের সাথে তাদের নিত্যদিন যুজতে হয়। ঠিক এই রকমই বিভিন্ন রোগের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসা হাবড়ার থানার অন্তর্গত ভিন্ন এলাকার ২ জন বৃদ্ধ ১১ ই জানুয়ারি আত্মঘাতী হন। মৃত ২ জন বৃদ্ধের মধ্যে প্রথম জনের নাম সুকুমার দাস। বাড়ি হাবড়া থানার অন্তর্গত ফুলতলায় এবং অপর আর একজনের নাম জিতেন্দ্র বিশ্বাস। বাড়ি হাবড়া থানার অন্তর্গত কুমড়া পঞ্চায়েত এলাকার আনখোলায়। বছর ৮০ র এই ২ জন বৃদ্ধই নিজ নিজ পরিবারের সাথে সুখেই ছিলেন বলে দাবী জানান পরিবারের লোকেরা।
মূলত সুকুমার দাস দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। এর জেরে একাধিক বার বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করান কিন্তু তবুও বয়সের কারনে মাঝে মাঝেই নানা রোগে আক্রান্ত হন তিনি। এর জেরেই আত্মঘাতী হন তিনি।
ঘটনাসুত্রে খবর, ১০ ই জানুয়ারি সন্ধ্যেবেলা হাবড়া থানার অন্তর্গত ফুলতলায় সুকুমার বাবুর বাড়িতে তার বৌমারা যখন টিভি দেখতে মগ্ন ঠিক সেই সময় তিনি নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে গলায় দড়ি দেন। পরে বৌমারা সুকুমারবাবুকে চা দিতে এসে দরজায় ডাকাডাকি করলে তিনি দরজা না খোলায় স্থানীয়রা এসে দরজা ভেঙে দেখেন তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এরপর তড়িঘড়ি তাকে হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অপরদিকে ১১ ই জানুয়ারি উত্তর ২৪ পরগণার হাবড়া থানার অন্তর্গত কুমড়া পঞ্চায়েত এলাকার আনখোলায় বছর ৮০ র আরও একজন বৃদ্ধ আত্মঘাতী হন। যার নাম জিতেন্দ্র বিশ্বাস। এক্ষেত্রে জানা যায়, বছর ৮০র জিতেন্দ্র বিশ্বাসও দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। এমনকি বর্তমানে তার হাঁপানি, অর্শ প্রভৃতি রোগও ছিল। আর এই রোগের জন্য তিনি বহু চিকিৎসা করেন কিন্তু তার সেই রোগের যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে এদিন সকালে তার বাড়ির সামনে কলাগাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
প্রতক্ষ্যদর্শীদের মতে, ১১ ই জানুয়ারি ভোর ৬ টা নাগাদ স্থানীয় একটি মেয়ে মহিমা বিশ্বাস প্রাতভ্রমনে বেড়িয়ে এই ঘটনাটি দেখতে পান। এরপর স্থানীয়রা এসে মৃত দেহটি গাছ থেকে নিচে নামান এবং হাবড়া থানায় খবর দেন।
পুলিশি সুত্রে খবর, বর্তমানে হাবড়া থানার পুলিশ এই ২ টি ঘটনাই তদন্ত করে দেখছেন। তবে এই ঘটনা ২ টি অস্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মামলা রুজু করেই তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশ।