ওয়েব ডেস্ক, বেঙ্গল টুডেঃ
৪ বছরের শিশুকন্যার গলা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল তার বাবার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নবাব আলি কুরেশিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরার মুখে নিজের দোষ স্বীকার করে সে জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে আল্লাকে সন্তুষ্ট করার জন্যই সে এ কাজ করেছে। শিশুটির নাম রিজওয়ানা। ঘটনাটি রাজস্থানের যোধপুরের।
বাবা ও মার সঙ্গে মামার বাড়িতে থাকত রিজওয়ানা। নবাব আলি পরিবার নিয়ে বাড়ির দোতলায় থাকত। ঘটনার দিন রাতে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে ছাদে ঘুমোচ্ছিল নবাব আলি। তার বিবি বলেন, “রাত আড়াইটে নাগাদ হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে রিজওয়ানাকে দেখতে পাইনি। মেয়েকে খুঁজতে নীচে নামি। সিঁড়ির সামনে নলি কাটা অবস্থায় মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখি। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল চারপাশ।”
এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার দিন রাত ৩টে নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে পিপার সিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার পর ওই বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নবাব আলিকেও। জেরার সময় তার কথায় অসঙ্গতি পায় পুলিশ। টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়ে দোষ স্বীকার করে সে।
নবাবের দাবি, পবিত্র রমজানের সময় নিজের প্রিয় কোনও মানুষকে উৎসর্গ করলে আল্লা তুষ্ট হন। তার কাছে সবচেয়ে প্রিয় ছিল মেয়ে রিজওয়ানা। এ জন্যই সে মেয়েকে খুন করে আল্লাকে উৎসর্গ করেছে।
পুলিশ সুপার রাজন দুষন্ত বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে ধর্মীয় কুসংস্কারের জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্ত। পুত্র সন্তান পাওয়ার আশায় কন্যা সন্তানকে খুন করেছে সে। মেয়েকে খুন করার পর সে নিজের রক্ত মাখা জামা ধুয়ে ফের ছাদে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। বর্তমানে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”