সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম :
উচ্চমাধ্যমিকে সব স্কুলকে পেছনে ফেললো মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের একলব্য। রাজ্যের মেধাতালিকার ১০ জনের মধ্যে নাম না থাকলেও রাজ্যে নজর কারা রেজাল্ট করেছে একলব্য রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্র, ছাত্রীরা। ২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন ই ফাষ্ট ডিভিশন এ পাশ করেছে। এদের মধ্যে ১৩ জন ছেলে ৯ জন মেয়ে। ১ জন ছাত্র অসুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দেয়। সম্ভবত সে কারনেই সেকেন্ডিভিশন পায় সে। শুধু তাই নয় ৯জন অলচিকিতে লেটার সহ মোট ২০জন লেটার পেয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে। ২জন লোধা ছাত্র সুরজ মল্লিক, পলাশ মল্লিক সহ মোট ৫ জন ছেলে ৩ জন মেয়ে স্টার মার্কস পয়ে পাশ করেছে। গত বার এখান থেকে একজন ছাত্র রাজ্যে প্রথম হয়েছিলো। এবার তা না হলেও সামগ্রিক রেজাল্ট যে কোনো স্কিল কেই অনেকটাই পিছনের সারিতে ফেলে দিয়েছে। এখানকার নিয়মশৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা সেক্রেটারি শান্তনু মহারাজ সহ বাকি দের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফষল এই রেজাল্ট।
নতুন জেলা ঝাড়গ্রামে আদিবাসীদের একলব্য আদর্শ আবাসিক বিদ্যালয়ে উচ্চমাধ্যমিকের ভালো ফলাফলে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রথম দশম স্থান অধিকার করেছেন যে সমস্ত মেধাবীরা তাদেরকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি তিনি তার প্রিয় জঙ্গলমহলের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির তথা একলব্য আবাসিক বিদ্যালয়েও শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন।
এছাড়াও রাজ্যের মুখ্য সচিব ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতর থেকে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়া হয়। এবছর একলব্য আবাসিক থেকে উচ্চমাধ্যমিকে বসেছিলেন ২২ জন পড়ুয়া। তাদের মধ্য ২১ জনেই প্রথম বিভাগে পাশ করেছে। একজন দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেছেন তিনি অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পিছিয়ে পড়া জঙ্গলমহলের একলব্য আবাসিক বিদ্যালয় কে রামকৃষ্ণ মিশনের হাতে তুলে দেবার পর আজ আদিবাসী সমাজের পড়ুয়ারা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে নতুন করে পথ এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখছে। যার প্রমান পাওয়া যায় স্কুলের এই অসাধারন ফলাফল। আগামী দিনে পিছিয়ে পড়া আদিবাসী সমাজের পড়ুয়ারা দেশের উদ্বর্তন এর কারিগর হতে চাই। একলব্য আবাসিক বিদ্যালয়ের মহারাজ জানান আমাদেরকে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে কাজ করতে দেবার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রী আমাদেরকে কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন বলে আজ সকলের প্রচেষ্টাতে এই আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে।