অরিন্দম রায় চৌধুরী ও শান্তনু বিশ্বাস, বেঙ্গলটুডেঃ
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে স্থানীয় মসজিদ ও সমাধিসৌধের তত্ত্বাবধায়ক কাজী ফকির আহমেদ এবং তাঁর স্ত্রী জাহিদা খাতুনের চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। 1899 সালের ২4 মে তার জন্ম হয়। তিনি একজন সুপরিচিত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং নজরুলের বাবা কাজী ফকির আহমেদ ইমাম ছিলেন।
কাজী নজরুল ইসলামের লেখনী বিপ্লবী ধাঁচের হওয়ায়ে তার অনেক কবিতাই তখন স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে গ্রহণ যোগ্য হয়ে ওঠে। তাই তিনি বিদ্রোহী কবি বলেই সকলের কাছে খ্যাত। নজরুল বরাবরই ধর্মীয় ও লিঙ্গ সহ সব ধরণের ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী কণ্ঠ বলেই পরিচিত হয়ে আছেন ও থাকবেন। তিনি অনেক উপন্যাস, গান এবং অনেক সাহিত্য রচনা করে গিয়েছেন, কিন্তু তিনি তাঁর কবিতার জন্য সুপরিচিত। নজরুলের প্রায় চার হাজার গান রচনা করেন, যাদের একসঙ্গে নজরুল গীতী নামে সবার কাছে পরিচিত।
[espro-slider id=7653]
২৬শে মে কি বারাসাত আর কি ব্যারাকপুর দুই স্থানেই সকাল থেকেই মহা ধুমধামের সাথে পালিত হয়ে "নজরুল জয়েন্তি" একদিকে যেমন জেলা তথ্য আধিকারিকের অফিসের সভাগৃহে পালিত হয়ে কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম জয়েন্তি আবার অপর দিকে ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনের সভাগৃহে পালিত হয়ে একই নজরুল জন্ম জয়েন্তি। দুই স্থানেই মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি দফতরের তরফ থেকে আয়োজিত হল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২০ তম জন্মবার্ষিকী। এ যেন গঙ্গা জল দিয়ে গঙ্গা পুজো। নজরুল গীতি ও নজরুলের রচিত কবিতা পাঠ করে উপস্থিত সকল আমন্ত্রিতদের মন জয় করে নিলেন এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা।
[embedyt] https://www.youtube.com/watch?v=J2OlAJgb5zg[/embedyt]
একদিকে বারাসাতে যেমন এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলা তথ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে বেশ কিছু বিশিষ্ট গুণীজনেরা আবার অপর দিকে ব্যারাকপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান উত্তম দাস,তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক পল্লব পাল সহ বিশিষ্ট জনেরা। এই অনুষ্ঠানে ৩টি সংগঠনের ৩২জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেন।