অরিন্দম রায় চৌধুরী, বেঙ্গল টুডেঃ
কৈখালিতে মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার হত্যাকাণ্ডে আরও ৩ জন সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম নিরাজ সাউ, হাফিফুল মোল্লা ও রসিদ আলি মোল্লা। ধৃতদের ২২ শে মে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য ১৯শে মে দমদমের কৈখালিতে নিজের বাড়িতে খুন হন এক মহিলা সিভিক। মৃতের নাম শম্পা দাস। বাড়ির সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দোতলার বাড়ির একটি ঘর থেকে তাঁর স্বামী সুপ্রতীমকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় সুপ্রতীমকেই সন্দেহ করে পুলিশ এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জেরায় জানা যায়, স্ত্রীকে খুন করার জন্য হাফিজুলদের জন্য এক লক্ষ টাকার চুক্তি করেছিল সুপ্রতিম।
[espro-slider id=7344]
এই খুনের ঘটনায় পুলিশের হাতে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জেরা জানা গিয়েছে, স্ত্রী শম্পা দাসকে খুনের জন্য গত ৬ মাস ধরে পরিকল্পনা করছিলেন সুপ্রতিম। এক্ষেত্রে তাঁর প্রধান সহযোগী ছিলেন রসিদ নামে এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, সুপ্রতিমের বাড়িতে রসিদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। রসিদ সুপ্রতিমকে ম্যাসাজ করে দিত। হাফিজুল ও নিরাজের সঙ্গে রসিদই সুপ্রতিমের পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর শম্পাকে খুনের ছক সাজায় হাফিজুলরা। তাদের সঙ্গে এক লক্ষ টাকার চুক্তি করে সুপ্রতিম। 'অপারেশন' এর আগে ৬০ হাজার টাকা অগ্রিম ও পরে আরও ৪০ হাজার টাকার চুক্তি হয়।
এছাড়া আরও জানা যায় ঘটনার দিন শম্পা বাইরে ছিল। তাঁর সাড়ে তিন বছরের ছেলেকেও খেলতে পাঠিয়ে দেন সুপ্রতিম। ঘরে থাকে তাঁর মা। হাফিজুল ও নিরাজ বাড়িতে চলে আসার পর তাদেরকে শাবল হাতে দিয়ে লুকিয়ে রাখেন সুপ্রতিম। বাড়ির দরজার ছিটকিনি সোজা করে রাখেন। শম্পা দরজায় টোকা দিতেই খুলে যায় ছিটকিনি। ঘরে পা দিতেই পিছন থেকে হামলা করে হাফিজুলরা। শম্পার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সুপ্রতিমের গায়ে ক্ষত তৈরি করে হাফিজুলরা। তাঁকে চেয়ারে বেঁধে বাড়ির পিছন থেকে চম্পট দেয়।