শর্বাণী দে, বেঙ্গল টুডেঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
পুজোর আগেই, আগামী অক্টোবরে কি রাজ্য সরকারের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়তে চলেছে? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় এই প্রশ্নগুলি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
২১ শে মে নজরুল মঞ্চে বঙ্গ-সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, “সরকারি কর্মীদের প্রতি আমাদের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা আমরা পালন করব। পুজোর আগে ওটা হয়ে যাবে।” অপরদিকে সিভিক ভলান্টিয়ার, আশা ও আইসিডিসি কর্মীদের ভাতা বাড়ানোর কথা এই মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মমতার দেওয়া এই বার্তা নিয়েই চর্চা চলছে।
যদিও এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার পার্থক্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ শতাংশে।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়েছিল ১৫ শতাংশ। সেই ঘোষণা করার সময়ই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে যাবতীয় বকেয়া ডিএ তাঁর সরকার মিটিয়ে দেবে। এবারও কি তবে তিনি পুজোর আগে সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষার কথাই বললেন?
কর্মীদের একাংশের অবশ্য মত, ডিএ নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে। সেই রায়েই ঠিক হয়ে যাবে ডিএ-এর ভবিষ্যৎ। মূলত প্রথমে আইনজীবীদের ধর্মঘট ও পরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিভিন্ন মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা ব্যস্ত থাকায়, ডিএ মামলার শুনানি হয়নি অনেকদিন। এরপর আদালতের গরমের ছুটি মিটলে ৫ ও ৭ জুন সেই মামলা শুনাবে আদালত। সেই মামলার রায়ের উপরে নির্ভর করবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-ভাগ্য।
বঙ্গ-সম্মানের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ১ লক্ষ ৩০ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারের বেতন ১ লা অক্টোবর থেকে ৮০০০ টাকা করে দিয়েছেন এবং আশা ও আইসিডিসি কর্মীদের বেতন মাসে ১০০০ টাকা করে বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। যেহেতু বেতন বাড়ানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী, তাই অনেকের মতে হয়ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর ইঙ্গিতই দিয়েছেন মমতা।
তবে রাজ্য সরকারের বেতন হোক বা ডিএ— একটা কিছু যে বাড়তে চলেছে তা স্পষ্ট মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে।