ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডেঃ
৫ই মে শিলিগুড়িতে ভক্তিনগর থানা এলাকায় একই পরিবারের ৪ সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান এটি খুনের ঘটনা। তবে আত্মহত্যার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে খবর, শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানার অন্তর্গত পাপিয়া পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন বাসু পাল। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়ে ছিল। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, পরিবারে অনটন থাকলেও অশান্তি ছিল না। বাসু পালের বাবা নৃপেন পাল গতরাতে কীর্তন শুনতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আজ সকালে দেখতে পান বাড়ির সদর গেট খোলা। এরপর ভিতরে ঢুকতেই তার নজরে আসে ঘরের বারান্দায় খুঁটি থেকে বাসুর দেহ ঝুলছে। গলায় ফাঁস লাগানো। দুই হাত শক্ত করে কাপড় দিয়ে বাঁধা।
অন্যদিকে, শোওয়ার ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে রয়েছে ছেলের বউ ললিতা পালের দেহ। সেই ঘরেই বিছানায় পড়ে রয়েছে বাসুর দুই ছেলেমেয়ের দেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর বাসু ছিল ললিতার দ্বিতীয় স্বামী। আগের পক্ষের স্বামীর মৃত্যুর পর বাসুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ললিতার। প্রাথমিক তদন্তের পর ভক্তিনগর থানার পুলিশের অনুমান এটি খুনের ঘটনা। তবে, ময়তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু বলতে নারাজ পুলিশ কর্তারা। তাদের কথায়, আত্মহত্যাও হতে পারে।