33 C
Kolkata
Thursday, March 28, 2024
spot_img

বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারত হস্তক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের

মিজান রহমান, ঢাকা:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারত এবং দেশটির সরকার হস্তক্ষেপ করবে না। ভারত আগেও এ দেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেনি। ২১শে এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের ভারত সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা কী হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ। বিজেপি এসে আমাদের জন্য ভোট চাইবে না, চাইতেও পারবে না। তারা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। অন্যান্য দেশ এ বিষয়ে খুব দৌড়াদৌড়ি করে। ইন্ডিয়া এসব করে না। আমাদের এই সফরের সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সফরে শুধু বায়লেটেরাল টকস হবে। এটা খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এখানে অন্য কোনো কারণ খোঁজার তো কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, সফরের পর ইন্ডিকেশন কী, তা বোঝা যায়। যদিও এটা বড় ডেলিগেশন। এই সফর নিয়ে কথা উঠছে কেন? ক’দিন আগেও তো আমাদের ২০ সদস্যের বেশি প্রতিনিধি দল চীন সফরে গিয়েছিল। চীনকে কী তাহলে আপনারা ছোট করে দেখছেন। ইন্দো-বাংলা সম্পর্ক ৭১ সাল থেকে। রক্তের রাখিবন্ধন। একটা দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে উভয়েরই স্বার্থ থাকে। এক্ষেত্রেও তাই। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ভারতের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত অনেক বড়। তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তো সমাধান হবে না। আলাপ-আলোচনা করেই সমাধান করতে হবে। ৭৪’র ল্যান্ড বাউন্ডারি চুক্তিও কিন্তু শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে বাস্তবায়ন হয়েছে। আমাদের ভিজিটটা যেহেতু খুব ছোট তারপরও আমাদের সব ধরনের চেষ্টা থাকবে। কথাও হবে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেই তো তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ পশ্চিমবঙ্গের একটা প্রভাব আছে।

ওবায়দুল কাদের জানান, ২২শে এপ্রিল সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগের ১৯ সদস্যের একটি দল ভারতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে। সেখানে পার্টি টু পার্টি আলোচনা হবে। পাশাপাশি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র্র মোদির সঙ্গেও আলোচনা হবে। এই সফরটি খুবই সংক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্ববহ। আমাদের কর্মসূচির মধ্যে আছে মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা অর্পণ। তারপর বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে নৈশভোজে অংশগ্রহণ। তারপরের দিন ২৩ তারিখ ভারতীয় জনতা পার্টি-বিজেপির সঙ্গে আলোচনা হবে। আর ২৪ তারিখ আমরা ভারত ত্যাগ করব।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গির কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামিম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবাহান গোলাপ, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু প্রমুখ।

Related Articles

Stay Connected

17,141FansLike
3,912FollowersFollow
21,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles