শান্তনু বিশ্বাস,পেট্রাপোল:
২১শে এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে এলাকায় অভিবাসন দপ্তর বিরুদ্ধে অন্ত সত্ত্ব মহিলাকে ৬ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠে।
মূলত অর্পিতা পাল দাস গুপ্ত বাংলাদেশের বাসিন্দা। বর্তমানে সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আট মাস আগে ভারতে বালিগঞ্জের বাসিন্দা আনন্দ দাস গুপ্তের সঙ্গে তার বিবাহ হয়। সেই সূত্রে অর্পিতাকে নিয়ে বাংলাদেশে বেড়াতে যায়। ২১শে এপ্রিল সকালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময় অভিবাসন দফতরের স্বপন দফাদার নামে এক আধিকারি তাদের পাসপোর্ট চেক করার সময় দেখে আনন্দ বাবুর পাসপোর্ট ভারতীয়, অর্পিতার পাসপোর্ট বাংলাদেশের। এই দেখে অর্পিতাকে আটকে রাখে।
অভিযোগ, এরপর বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন কথা বলে তাকে হেনস্থা করে। এমনকি ওই আধিকারিক অর্পিতার পাসপোর্ট ইচ্ছা করে ছিরে দিয়ে ঘুষ নেওয়ার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ। আনন্দবাবু ভারতীয় সমস্ত পরিচয় দিলে হেনস্থা করা কমালেও তাঁর স্ত্রী অর্পিতাকে আটকে রাখে। প্রায় ৬ ঘণ্টা রোদে দাড় করিয়ে রাখার পর অর্পিতা অসুস্থ হয়ে পরে বলে অভিযোগ।
এর জেরেই পেট্রাপোল থানায় , ওই আধিকারি সহ অভিবাসন দফতরের কয়েক জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার স্বামী।
পুলিশি সুত্রে জানা যায়, এদিন অর্পিতা পাল দাস গুপ্ত নামক এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে করিয়ে রাখেন অভিবাসন দফতরের স্বপন দফাদার নামে এক আধিকারিক। যার দরুন তার রক্তক্ষরন হতে শুরু করে। এরপর ঘটনার খবর পেয়ে পেট্রাপোল থানার ওসি সিদ্ধার্থ মন্ডল ঘটনা স্থলে গিয়ে ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন এবং তাকে সেখানেই ভর্তি করা হয়। তবে পরে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতা আরজি কর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় নির্যাতিতার স্বামী বলেন, টাকার জন্য অভিবাসন দফতরের আধিকারিরা সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে যে ভাবে অত্যাচার করে এর প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ। শুধু তাই নয় এর দরুন মহিলা যাত্রীরাও রেহায় পায় না।