শান্তনু বিশ্বাস, বনগাঁ:
বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম চাকরীর লোভে বহু বেকার যুবক যুবতীর থেকে বিপুল পরিমান টাকা নিয়ে তাদের প্রতারনার অভিযোগ প্রায়ই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এর দরুন বহু বেকার যুবক যুবতী চাকরী পাওয়ার আশায় নিজেদের জমি বাড়ি বিক্রি করেও টাকা জোগান দেন। কিন্তু কেউ একটু জাচাই করে দেখেন না যে এই সমস্ত চাকরীর খবর যেখান থেকে পাচ্ছেন সেটা আদতে সঠিক কি না। ঠিক একইরকম ঘটনা ঘটে ৫ই ফেব্রুয়ারি বনগাঁ থানার অন্তর্গত কুন্দীপুর গ্রামে সি এস পি অফিস খুলে ব্যাঙ্কে চাকরী দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় শতাধিক যুবক যুবতীর থেকে বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাদ করার অভিযোগে ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি রাতে স্থানীয় দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের নাম তন্ময় অধিকারি ও রণজিৎ দাস।
স্থানীয় সুত্রে খবর, প্রায় চারমাস আগে কুন্দীপুর গ্রামে আর বি এল এর একটি সিএসপি খোলা হয় ফিউচার জেনারেশান নামক একটি সংস্থার মাধ্যমে ৷ মূলত এই সংস্থার নাম করে এই গ্রামের পার্শ্ববর্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাঙ্কফাইনান্স, বিমা,গ্রুপলোন বিভিন্নক্ষেত্রে চাকরী পাইয়ে দেবার নাম করে বহু জনের কাছ থেকে দশহাজার , বিশ হাজার ,পঞ্চাশ হাজার টাকাও নেওয়া হয়।
পাশাপাশি বিভিন্ন ভুয়ো কথা বলে প্রায় একশো কুড়ি জনের থেকে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাদ করেন তাঁরা। অভিযোগ এই সংস্থার তরফ থেকে ভুল নিয়োগ পত্রও দেওয়া হয়। আর সেই নিয়োগ পত্র অনুযায়ী প্রায় তিন মাস কাজ করে কোন মাইনে না পাওয়ায় সন্দেহ হওয়ায় ৪ ঠা ফেব্রুয়ারি রাতে কুন্দিপুরের সিএসপি অফিসে লোক জমায়েত হলে পালিয়ে যায় এক অভিযুক্ত মিঠুন মন্ডল। এবং বাকি আরও দুজন অর্থাৎ ধৃত রনজিৎ দাস ও তন্ময় অধিকারিকে বনগাঁ থানার হাতে তুলে দেয় ওই যুবক - যুবতী ৷
উল্লেখ্য এর জেরেই ৫ ই ফেব্রুয়ারি দুপুরে বনগাঁ থানার সামনে প্রতারিত সকল যুবক যুবতী নিজেদের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবীতে শ্লোগান করতে থাকেন এবং দোষীদের যথাযথ শাস্তির অভিযোগ করেন। বর্তমানে এই গোটা ঘটনার তদন্তে বনগাঁ থানার পুলিশ।