আজ মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। পদত্যাগপত্র তিনি পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। ই-মেলে পাঠিয়েছেন রাজ্যপালকেও। পদত্যাগপত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন রাজ্যপাল জগদ্বিপ ধঙ্কর। শুভেন্দু অধিকারী-র মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের পরেই কালীঘাটে বৈঠক ডেকেছেন মমতা ব্যানার্জি। তৃনমূল কংরেস নেতা সুব্রত বক্সী, অরুপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, আভিসেখ ব্যানার্জি,পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সকলেই উপস্থিত হয়েছেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই শুভেন্দুর হাতে থাকা তিন দফতরের দেখভাল করবেন।
In view of recommendation imparted by Hon’ble Chief Minister, West Bengal, Ms. Mamata Banerjee, the resignation dated 27.11.2020 of Shri Suvendu Adhikari, Minister is hereby accepted with immediate effect in exercise of the powers vested in me under Constitution.
@MamataOfficial pic.twitter.com/6lLkmQWEn1— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 27, 2020
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় টুইটে জানিয়েছেন, সংবিধান অনুসারে মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশক্রমে শুভেন্দু অধিকারীর পদত্যাগপত্র তিনি গ্রহণ করেছেন। তাঁর দায়িত্বে থাকা দফতরের কাজ আপাতত মুখ্যমন্ত্রীই দেখবেন বলে জানিয়েছেন ধনকড়। কিন্তু এখনও দল দল ছাড়েননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর দল ত্যাগ ঘিরে তাই জল্পনা জিইয়েই রইল। সূত্রের খবর, এদিন দুপুরে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে ফোনও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাতেও বরফ না গলার ইঙ্গিত ক্রমশ প্রকট হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলেই দলনেত্রীর ডাকে কালীঘাটে জরুরি বৈঠক বসেন মমতা ঘনিষ্ট তৃণমূল শীর্ষ নেতারা। জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিমরা। জানা গিয়েছে জরুরি এই বৈঠকে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বৃহস্পতিবারই এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই এদিন সরকারি সব নিরাপত্তা ছাড়েন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বেলা গড়াতেই নন্দীগ্রামের মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপরই তাঁর তৃণমূল ত্যাগ ও বিজেপিতে যোগদান নিয়ে চর্চা তুঙ্গে ওঠে।
গত কয়েকমাস ধরেই শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা চলছে। তাঁর অরাজনৈতিক সভা ঘিরে দলের অন্দরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সভাগুলো থেকে নাম না করে দলীয় নেতৃত্বকে একের পর এক তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী। দূরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে নন্দীগ্রামের বিধায়ক ও তৃণমূলের মধ্যে। এরপরও কী দলে থাকবেন পূর্ব মেদিনীপুরের দোর্দদণ্ডপ্রতাপ এই নেতা? রাজ্য রাজননীতির নজর এখন সেদিকেই।