Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
মিজান রহমান, ঢাকাঃ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশকে এগিয়ে নিতে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির বিকল্প কিছু নেই। আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য এখনও তৈরি পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরশীল। বর্তমান সরকার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বেশি হয়। তারপরও এখানে এবার ২০০ কোটি টাকার বেশি পণ্য রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। আলাদা করে রপ্তানি মেলার আয়োজন করা হলে সেখানে আরো বেশি রপ্তানি আদেশ পাওয়া সম্ভব। গত শনিবার শেরে-বাংলাস্থ মাসব্যাপী ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
টিপু মুনশি বলেন, ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে একটি স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে সারা বছর বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনী আয়োজন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, দেশে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩৬ একর জমির উপর ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো বড় স্থানের চিন্তা করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এ ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হবে।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ এখন দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন পাকিস্তান থেকে সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারত থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সম্বলিত ভাবে কাজ করতে হবে।
২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ৯ই জানুয়ারি শুরু হয়ে ৯ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শেষ হয়। মেলায় দেশি-বিদেশি ৬০৫টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ২২টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩টি ক্যাটাগরিতে ৪২টি সেরা প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদান করা হয়। ৩৩টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট এবং সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কৃত করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং বিশেষ অতিথি তোফায়েল আহমেদ যৌথ ভাবে এসব ট্রফি ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন।