অর্ণব মৈত্র, সল্টলেকঃ ২৭শে নভেম্বর পশ্চিম বঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ভবনে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের ১৩০ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠান করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্ধিকুল্লা চৌধুরী সহ একাধিক আধিকারিক।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী সিদ্ধিকুল্লা চৌধুরী জানান, “রাজ্যে গ্রন্থাগার ও জন শিক্ষা প্রসার দফতরের উদ্যেগে যে সমস্ত বইমেলা হয় সেখানে এবার থেকে সেই মেলায় একই ধরণের লোগো লাগাতে হবে। একদিকে থাকবে বিশ্ববাংলার লোগো আর একদিকে থাকবে এই দফতরের লোগো আর মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছাড়া আর কারো ছবি থাকছে না। প্রতিটি বইমেলায় এই দফতরের একটি করে স্টল থাকবে। আগে বই বাছাই হতো কলকাতায় বসে কিন্তু এবার জেলায় হবে। জেলায় যে ভালো লেখক আছে তাদেরও বই মেলায় থাকবে। বই মেলায় অনেকে যায় অনেকে যায় না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে প্রতিটি বই মেলায় ১০% স্টল মাইনরিটি কমিউনিটি দলিত অধিবাসী ও উর্দু ভাষীদে জন্য রিজার্ভ থাকবে। যদি ১০০টি স্টল থাকে তবে ১০ টি স্টল সংখ্যালঘু দলিত নেপালি ও উর্দু ভাষীদের জন্য যা কখনো ছিল না। ছাত্র ছাত্রীদের বলবো হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিফোন, মোবাইল এটা ভবিষ্যৎ গড়বে না। বই তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়বে।”
[espro-slider id=15333]
তিনি বলেন, “এক কিলোমিটার এর মধ্যে বা দুই কিলোমিটার মধ্যে যদি কোনো লাইব্রেরি থাকে তবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীরা তাদের টেক্সবুক সাজেশন বই রেফারেন্স বই যদি চায় স্কুলের মাধ্যমে দরখাস্ত করলে বিনা পয়সায় আমাদের দফতর থেকে ছাত্রছাত্রীদের পড়ার বইয়ের সুযোগ করে দেব”।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, বর্তমান অবস্থার যে ক্রাইসিস চলছে এই ক্রাইসিস তৈরি করা হচ্ছে। ভারতবর্ষের সব মানুষ হিংসা বিবাদ চায়না। আমরা যত সাবধান থাকবো মেলবন্ধনের আবহ তৈরি করবো বাংলার ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করবো। বাংলার সৃষ্টি বাংলার কালচার বাংলার সার্বভৌমত্ব বাংলা ভাষাভাষী মানুষের ভবিষ্যতকে সদৃহ করতে গেলে একসাথে আমাদের চলতে হবে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমাদের চলতে হবে।