Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
অর্ণব মৈত্র,বসিরহাটঃ উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার টাকি গভর্নমেন্ট কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আশিক রাজা। মূলত মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষদের বেঁচে থাকতে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই এই অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বলে দাবি করেন ওই ছাত্র। বাবা আব্দুল রশিদ মোল্লা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বসিরহাট থানার গোলপুকুর গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি আব্দুল রশিদের একমাত্র ছেলে আশিককে ইউটিউব ক্রিয়েটার অ্যাওয়ার্ড সিলভার প্লে বটন দিয়ে সংবর্ধনা জানায় গুগোল। গত শনিবার সেই আওয়ার্ড এসে পৌঁছায় আশিকের কাছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, পরিবারের একমাত্র ছেলে আশিক ছোট থেকেই পড়াশুনায় ভালো। যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গেই উত্তীর্ণ হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। কিন্তু কলজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তেমনভাবে সাফল্য দেখাতে পারেনি সে। তবে অপরদিকে ততক্ষনে ইন্টার্নেট আর স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে নিজের ভবিষ্যৎ গোছানোর পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছিল আশিক রাজা।
পরিবারের একমাত্র ছেলে ইন্টারনেটে বুঁদ হয়ে থাকার জন্য প্রথম অবস্থায় পরিবারের লোকেরা তা মেনে নিতে না পারলেও এখন সেই ইন্টারনেট থেকেই সাফল্য পাওয়ায় খুশি পরিবারের সকলেই। নিজের সাফল্যের বিষয়ে উল্লেখ করে আশিক বলে, “জীবনের ব্যর্থতা থেকে চরম সিদ্ধান্ত নিতে দেখেছি বহু মানুষকে। কিন্তু ব্যর্থতাই জীবনের শেষ কথা নয়। সেখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানো যায় প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে। এই বিষয়গুলোই তুলে ধরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষদের বেঁচে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে কিছু ভিডিও পোষ্ট করে এসেছি ইউটিউবে”।
উল্লেখ্য, গত প্রায় এক বছরে মাত্র ৩৪টি ভিডিও পোস্ট করে জনপ্রিয় আশিক রাজা। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পথ খুলে যাবে বলেও দাবি করে আশিক। পাশাপাশি ইউটিউবে ভিডিও পোষ্ট করে খ্যাতি অর্জনের সাথে গত ছ’ মাসে মোটা অঙ্কের উপার্জনও পেয়েছে বলে জানায়।