মিজান রহমান, ঢাকাঃ বাংলাদেশে ভোটের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে শঙ্কায় আছেন কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে দলীয় পরিচয় সহ ঠিকুজির সন্ধান করায় নতুন করে উৎকন্ঠায় আছেন সরকারি ও সরকারি সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে অনীহা কাজ করছে তাদের অনেকের মধ্যে। নানা অজুহাত দেখিয়ে তারা নির্বাচন থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অফিস সহ রিটার্নিং অফিসে আবেদন করছেন। অবশ্য এবারের নির্বাচনে দেশের প্রায় সব দলের অংশগ্রহণের ঘোষণায় কিছুটা হলেও স্বস্তিবোধ করছেন তারা।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন এবং এরপর স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক গোলযোগের প্রেক্ষাপটে একাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে তালিকাভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০শে ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন। দেশের ৩০০টি আসনে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্রে দুই লাখের বেশি ভোটকক্ষ থাকবে। একজন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই বা ততোধিক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রতিটি ভোটকক্ষে অন্তত দুইজন পোলিং অফিসার মিলিয়ে কেন্দ্রপ্রতি ভোটার সংখ্যার বিবেচনায় ১০ থেকে ২০ জন নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া ৫ থেকে ১০ শতাংশ কর্মকর্তা থাকবেন রিজার্ভ হিসেবে। সব মিলিয়ে ৭ লাখের বেশি নির্বাচনি কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে।