অমিয় দে, পাথরপ্রতিমাঃ পাথরপ্রতিমা থানা অন্তর্গত বরদাপুর গ্রামে সরস্বতী জানা (৩৫) প্রায় ১১ বছর আগে নিশিকান্ত জানার সাথে বিবাহ হয়। তাদের ৭ বছরের একটি পুত্র আছে তার নাম সৌমেন জানা। স্বরসতীর বাপের বাড়ি নামখানার নারায়নপুরে। অভিযোগ, নিশীকান্তের ভাই-এর স্ত্রী, সুচিত্রা-র সাথে অবৈধ সম্পর্ক থাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হত। স্বামীর কার্যকলাপে অতিষ্ট হয়ে কিছুদিন আগে পাথরপ্রতিমা থানাতে একটি ডায়েরিও করেছিল সরস্বতি। গ্রাম্য শালিস্যিও হয় কয়েকবার। স্থানিয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্মের সাথে যুক্ত নিশীকান্ত, প্রায় ৫ বছর পুর্বে দিল্লীতে একটি মেয়েকে ধর্ষন করে ধরা পড়ে ৪ বছর জেলও খাটে সে দিল্লিতে। ৪ বছর পর বাড়িতে এসে ছোট ভাই-এর স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ্য সম্পর্কে আবার জড়িয়ে পড়ে বলে স্বরসতীর বাবা হিমাংশু মল্লিকের অভিযোগ। তিনি আরও বলেন, ভাইয়ের বৌ-এর সাথে অবৈধ অবস্থায় দেখে ফেলায় গত ১৫ই আগস্ট, বুধবার রাতে মেয়েকে বালিশ চেপে মেরে ফেলে পরে গোয়াল ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। তবে তার পা মাটিতে ঠেকেছিল। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মেয়ের বাবা পাথরপ্রতিমা থানাতে তার মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তার স্বামী, শাশুড়ি গঙ্গা জানা ও জা সুচিত্রা জানা কে গ্রেফতার করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় এবং গ্রেফতার হওয়া তিন জনকে কাকদ্বীপ মহাকুমা আদালতে তোলেন। পুলিশ অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রকৃত ঘটনার তল্লাশি শুরু করেছেন।