মিজান রহনা, ঢাকাঃ বাসচাপা পড়ে দুই শিক্ষার্থী নিহতের জের ধরে টানা তৃতীয় দিনে পৌছালো ধর্মঘট। ১লা আগস্ট, বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। সকালে ফার্মগেট এলাকায় সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে অবস্থান নেয়। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় একটি বাস আসলে শিক্ষার্থীরা চালকের কাছ থেকে চাবি নিয়ে নেয়। পরে পুলিশ এসে রেকার দিয়ে ওই বাসটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়। পরে এই সড়ক দিয়ে সীমিত আকারে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা ও দু-একটি গণপরিবহন চলাচল করেছে।
যাত্রাবাড়ী মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। ফলে কাচপুরের দিকে রাজধানীরমুখী কোনো বাস চলাচল করতে পারছে না। তবে রোগীবহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও হজ যাত্রীদের গাড়ি চলাচল করছে। রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় সিটি কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করছে। ফলে আজিমপুর থেকে মিরপুরগামী রোডে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। উত্তরা হাউস বিল্ডিং মোড়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। তারা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। ডেমরা মা ও মাতৃসদন শিশু হাসপাতালের সামনে স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করছে। টঙ্গী সরকারি কলেজের সামনে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের এক শিক্ষার্থী পুলিশের মারধরে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় ১লা আগস্ট আজ শিক্ষার্থীরা সেখানে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। এদিকে বুধবার সকাল থেকে রাজধানীতে বাস চলাচল কমে গেছে। পূর্ব ঘোষিত পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কোনো ধর্মঘট কর্মসূচিও নেই। এরপরও রাজধানীর প্রত্যেকটি রুটে বেশির ভাগ বাস চলাচল করছে না। ফলে সকালে অফিস গন্তব্যের উদ্দেশে যারা বের হয়েছেন, তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। অ্যাপসভিত্তিক যানবাহন, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশায় করে অফিস যেতে হয়েছে বহু মানুষকে। বিভিন্ন রুটে দু-একটি বাস চলাচল করলেও সেগুলোতে ছিল যাত্রীদের গাদাগাদি অবস্থা।