মিজান রহমান, ঢাকাঃ প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘোষণা, পাল্টা-পাল্টি অনিয়মের অভিযোগ ও নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠ থাকার দাবির মধ্য দিয়েই শেষ হল তিন সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ। ৩০শে জুলাই, সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ হয়, চলছে গণনা। তিন সিটির মোট কেন্দ্র ৩৯৪টি। সোমবার সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন ভোটাররা। সিলেটে বিচ্ছিন্ন গোলযোগের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বরিশাল ও রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮ টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর সরকারি বরিশাল কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
ভোট প্রদান শেষে সাদিক সংবাদকর্মীদের কাছে সুষ্ঠ ভোটের পাশাপাশি নির্বাচনে জয়লাভের আশা প্রকাশ করেন। তবে, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে সৈয়দ একটি বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েই অনিয়মের অভিযোগ আনেন বিএনপি-র প্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার ওপর। কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, "বরিশালে এ ধরনের আগ্রাসন, এই ধরনের ভোট কেউ দেখেনি। আমি বলব, জনগণকে মাঠে নেমে আসতে। আওয়ামী লীগের এজেন্টদের একটি কেন্দ্র থেকে বিএনপি-র এজেন্টরা বের করে দিচ্ছেন" টেলিভিশনের কর্মীদের কাছে এমন দাবি করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদিক। তবে অনিয়মের অভিযোগ এনে দুপুর ১২ টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন মজিবর রহমান সরওয়ার। এরপর বাসদ, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থীরাও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ওই সিটিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ১৫ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৩০টি, মোবাইল ফোর্সের ৩০টি, স্ট্রাইকিং ফোর্সের ১০টি টিম এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।0