ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডে:
বর্তমানে বাজারে উপচে পড়ছে কয়েন। সরকারি ভাণ্ডারেও রাখার জায়গা নেই। আর তাই এই অবস্থায় কলকাতা, মুম্বই, হায়দরাবাদ ও নয়ড়া-এই চার টাঁকশালে কয়েন তৈরির কাজ আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত সরকারি সূত্রে জানা যায়, টাঁকশালগুলির পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন লিমিটেড (এসপিএমসিআইএল) এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, কয়েন তৈরির কাজ অবিলম্বে বন্ধ করা হয়েছে।পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে, টাঁকশালগুলিতে কর্মীদের ওভারটাইম ছাড়াই স্বাভাবিক কাজের সময়ে কাজ চলবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া তরফে জানা যায়, বাজারে কত পরিমাণ কয়েন রয়েছে এবং রাখার জায়গা সংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনা করে কয়েন তৈরির কাজ সময় সময়ে রদবদল হয়। বর্তমানে ব্যাঙ্কগুলি ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে কয়েন রাখার জায়গা নেই।
প্রসঙ্গগত ২০১৬-র নভেম্বরে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের পর বাতিল নোট প্রচুর পরিমাণে জমা পড়েছিল ব্যাঙ্কগুলিতে। সেই নোটগুলি রাখার স্থান সঙ্কুলান করতে হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিয়মিত কয়েনের যোগান ও ব্যবহারের পর্যালোচনা করে এবং তা আর্থিক বিষয়ক দফতর (ডিইএ) কে জানায়। এরপর ডিইএ তা জানায় এসপিএমসিআইএল। এসপিএমসিআইএলের নোটিশে বলা হয়েছে, সরকারি টাঁকশালগুলিতে এখন ২,৫২৮ মিলিয়ন কয়েন রয়েছে।