অরিন্দম রায় চৌধুরী, ব্যারাকপুরঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এই এক মাসের রোজা রাখার শেষ মুহূর্তে এমনই করেই মগরিবের আজান হওয়ার পর রোজার ভাঙ্গার সময়কে বলা হয় “ইফতারি” আর তখনই নানান খাদ্য ভাগ করে একত্রীত হয়ে খাওয়ার চল বছরের পর বছর ধরে চালু সেখানেই দেখা যায় নানা স্থানে ইফতার পার্টির আয়োজন। যেখানে নানা সময় হাজির থাকেন নানা নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে এলাকার গণ্যমান্য বাক্তিত্বরা।
এমনই এক ইনফতার পার্টির আয়োজন হয়ে ১০ই জুন, রবিবার ব্যারাকপুর সদরবাজার মুচিমহলে বাল্মীকি ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে। তবে এই ইফতার পার্টিতে রোজা ভাঙ্গার সময় একত্রীত হওয়া নয়, বা রোজা ভাঙ্গার সময় একত্রীত হয়ে নানান খাদ্য খাওয়াই প্রধান নয়। বরঞ্চ এক অভিনব পন্থায় এই রমজান মাসে উপহার স্বরূপ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলাদের তিন মাসের সেলাই প্রশিক্ষণ শিবির শেষে শংসাপত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়।
[espro-slider id=8964]
এই অভিনব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসক পীযূষ কান্তি গোস্বামী, ব্যাঙ্ক ওফ বরোদার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ রাম, আম্বেদকর মিশনের সাধারণ সম্পাদক সমীর দাস, সুদীপ কুমার বালমিকি, প্রীতম বালমিকি ও মহঃ সাবিক সহ অন্যান্য এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্বরা। উক্ত অনুষ্ঠানে ১০০ জন সংখ্যালঘু মহিলার হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
এইদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যারাকপুর মহকুমা শাসক পীযূষ কান্তি গোস্বামী বলেন, ” আমার আশা এই প্রশিক্ষণের ফলে এই মহিলারা তাদের জীবনে নিজেরা স্বনির্ভর হয়ে উঠবেন।” তিনি আরও জানান “রাজ্য সরকার এই ধরনের কাজের জন্য যে কোন সাহায্যর জন্য এগিয়ে আসবে। উদ্যোগতারা যদি চান এই বিষয়ে যোগাযোগও করতে পারেন।”
উদ্যোগতাদের এই অভিনব অনুষ্ঠান যে সংখালঘুদের কাছে এবার রমজান মাসের সব থেকে বড় ইফতারি উপহার তা বলাই বাহুল্য।