ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গলটুডেঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
গ্ল্যামার দুনিয়ার নাম করা অভিনেতা নিজের সারা জীবনের পুঁজির প্রায় ৯০ শতাংশই দূর্গতদের উদ্দেশ্যে দান করে নিজের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কেবলমাত্র দূর্গতদের জন্য। তার এই পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি জানান, “মৃত্যুর একেবারে আগের মুহুর্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকার রসদ আমি পেয়ে গেছি”।
মূলত আমরা কম বেশি সকলেই হিন্দি সিনেমায় এই মানুষটিকে বেশ দাপুটে হিসেবে দেখে এসেছি। কিন্তু বাস্তব জীবনে তার এই কথার মূল অর্থ ঠিক কি অর্থাৎ কি সেই রসদ প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “কেবলমাত্র দূর্গত মানুষদের সেবা করা”। আর তার সেই রসদ তথা স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে তিনি নিজের জীবনের পুঁজির প্রায় ৯০ শতাংশ দান করলেন এই সমস্ত মানুষ গুলির উদ্দেশ্যে। এর পাশাপাশি তিনি মহারাষ্ট্রের মারাঠওয়ারায় আত্মঘাতী ৬২ কৃষক পরিবারকে ১৫,০০০ টাকা করে দান করেন এবং তিনি নিজে গিয়ে ১১২ টি পরিবারের সাথে কথা বলেন। এছাড়া নানা পাটেকরের কিছু নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে যারা এই সমস্ত সমাজসেবা মূলক কাজ করে থাকেন আর এই সংস্থা গুলির মধ্যে নাগপুর, লাতুর, হিঙ্গোলি, নানদেদ প্রভৃতি সংস্থাগুলি ঔরাঙগাবাদের আরও ৭০০জন কৃষক পরিবারের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগ গ্রহন করেন। এছাড়াও এই সমস্ত কৃষক পরিবারের পাশে থাকার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে এই সমস্ত সংস্থাগুলি। কেবলমাত্র এই মানুষগুলি যাতে ভালো থাকেন, নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবস্থা, শুকনো লেক এবং নদীগুলি জলপূর্ন করার জন্য বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করার জন্য তার এই প্রচেষ্টা।
আর তার এই অনুভূতি মূল কারন হিসাবে কোথাও না কোথাও তার নিজস্ব জীবন সংঘর্ষ জড়িয়ে রয়েছে। বাস্তব জগতে এই গ্ল্যামার দুনিয়ার আবির্ভাবের আগে নানা পাটেকর রাস্তায় জেব্রা ক্রসিং আকার কাজ করতেন আর সেই সময় অনুযায়ী তার আয় ছিল মাত্র ৩৫ টাকা। বর্তমানে সমস্ত রকম ভোগবিলাসের সুযোগ সুবিধা পাওয়া সত্ত্বেও বলিউডের এই ভদ্র ও বিনয়ী মানুষটি নিজের মায়ের সাথে এক কামরার একটি ঘরে বসবাস করেন। তার এই পদক্ষেপে বর্তমানে নানা পাটেকর গ্লামার দুনিয়াকে মানুষের স্বার্থে এগিয়ে আসার জন্য পথ প্রদর্শন করেন এবং তার এই পথ প্রদর্শনে ঠিক কত জন তার পাশে এসে দাড়াবে এখন সেটাই দেখার।