মিজান রহমান, ঢাকা:
আসন্ন ঈদুল ফিতরে সড়ক ও নৌপথে নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে সরকারের কাছে ১৪ দফা জরুরি সুপারিশ জানিয়েছেন নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। অবিলম্বে এই জরুরি সুপারিশ বাস্তবায়নের জোর দাবি জানিয়েছে কমিটি। জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে উত্থাপিত সাতটি করে মোট ১৪টি সুপারিশ অবিলম্বে কার্যকরের পাশাপাশি সেগুলো ঈদ-পরবর্তী এক সপ্তাহ বলবৎ রাখার দাবিও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। ৫ জুন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে সরকারের কাছে এই দাবি জানান।
সড়ক নিরাপত্তায় সুপারিশসমূহ
১. অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ বাস টার্মিনালে সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম রু এবং কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
২. দূরপাল্লার সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোসহ বেআইনিভাবে ওভারটেকিং বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন।
৩. রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস ও রুট পারমিটবিহীন বাসসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধে জাতীয় মহাসড়ক, আন্তঃজেলা সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিমদের সম্পৃক্তকরণ।
৪. চলন্ত অবস্থায় চালকদের মুঠোফোন ব্যবহার, বাসের ছাদে ও ট্রাকে যাত্রী পরিবহন এবং জাল লাইসেন্সধারী চালকদের গাড়ি চালানো বন্ধে সংশ্লিষ্ট জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে ক্ষমতা প্রদান।
৫. ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুঃসহ যানজট এড়াতে এসব মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ।
৬. সড়কপথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতকারী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানের মানুষের সুবিধার্থে শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া ফেরিঘাটের বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনা রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা জোরদার।
৭. জাতীয় মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কে অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ তিন চাকার সব ধরনের যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করা।
নৌ-নিরাপত্তায় সুপারিশসমূহ
১. অবৈধ ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরু।
২. নৌ-নিরাপত্তায় উপকূলীয় জনপদের জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে সম্পৃক্তকরণ।
৩. উপকূলীয় জেলাসমূহের নির্বাহী হাকিমদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা প্রদান।
৪. সদরঘাটসহ সারা দেশের সকল লঞ্চ টার্মিনালে কঠোর নিরাপত্তাসহ শৌচাগার সুবিধা ও পানির ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ এবং সকল নদীবন্দরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা
৫. শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চসহ সব ধরনের ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল বন্ধ।
৬. রাতে বালু ও তেলবাহীসহ সব ধরনের পণ্যবাহী নৌযান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধকরণ।
৭. সকল টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটে লাউড স্পিকার ও বড় পর্দায় সার্বক্ষণিক এবং টেলিভিশন ও বেতারে প্রতিঘন্টায় আবহাওয়া বার্তা প্রচার করা।