ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গলটুডে, কলকাতাঃ
৫ই মে অর্থাৎ মঙ্গলবারই মমতার মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। এর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মন্ত্রিসভার রদবদল করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করেছিলেন তিন মন্ত্রী। এবার তাদের দফতর অন্যদের মধ্যে বণ্টনের পাশাপাশি গুরুত্ব কমানো হল শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গুরুত্ব বাড়ল শুভেন্দু অধিকারী, সৌমেন মহাপাত্র ও মলয় ঘটকের।
একসময় রদবদলে শোভলকে জবাব দিতে তাঁর শ্বশুর দুলাল দাসকে নতুন মুখ হিসেবে আনা হতে পারে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তবে এদিন তেমন কোনও আভাস অবশ্য মিলল না। এমনকি এবার আরও নতুন মুখ আসতে পারে, সেই সম্ভাবনার কথাও উঠছিল। সেইসব সম্ভাবনায় জল ঢেলে পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যেই দফতর বণ্টন করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ আসার পর অবনী জোয়ারদার, চূড়ামণি মাহাতো ও জেমস কুজুর পদত্যাগ করেছিলেন মন্ত্রিসভা থেকে। ফলে মন্ত্রিসভায় রদবদল জরুরি হয়ে গিয়েছিল। সেইমতো অপেক্ষা না করে এদিনই রদবদল সেরে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গুরুত্ব কমানো হল। তাঁর কাছ থেকে পরিবেশ দফতর কেড়ে নেওয়া হল। সেই দফতরটির ভার দেওয়া হল পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। ফলস্বরূপ শুভেন্দু অধিকারীর গুরুত্ব বাড়ল।
একইভাবে গুরুত্ব বাড়ানো হল মলয় ঘটকের। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের দায়িত্ব এল মলয় ঘটকের কাঁধে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব কমিয়ে সেচ দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল সৌমেন মহাপাত্রকে। সেচ দফতরের পরিবর্তে রাজীব পেলেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের দায়িত্ব। এর আগে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতর ছিল জেমস কুজুরের হাতে।
সৌমেন মহাপাত্রের জলসম্পদ দফতর পেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে রাখলেন আদিবাসী উন্নয়ন দফতর। এই দফতরটি ছিল পদত্যাগী মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর হাতে। অপর পদত্যাগী মন্ত্রী অবনী জোয়ারদার ছিলেন দফতরহীন মন্ত্রী।