অরিন্দম রায় চৌধুরী, ব্যারাকপুরঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
অবশেষে ভাটপাড়ায় ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল জগদ্দল থানার পুলিশ। অভিযোগ, রবিবার সন্ধেয় ভাটপাড়া মোড়ে সঞ্জয় মণ্ডলের বিরিয়ানির দোকানে গিয়েছিল শেখ ফিরোজ ও তার তিন সঙ্গী। সেখানে গিয়ে বিরিয়ানির অর্ডার দেয়। সেই সময় দোকান মালিক সঞ্জয় মণ্ডল আগের বাকি থাকা ১৯০ টাকা চায়। বাকি থাকা টাকা চাওয়ায় দুষ্কৃতীরা প্রথমে হুমকি দেয় ও পরে তাড়া করে ব্যবসায়ী সঞ্জয় মণ্ডলকে। দোকান থেকে আটদশ পা দূরেই দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি লাগে ব্যবসায়ীর পিঠে। সেখানে পড়ে যান সঞ্জয় মণ্ডল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে প্রথমে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সঞ্জয় মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
অবশেষে সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে দুষ্কৃতীদের সনাক্ত করে পুলিশ। সোমবার সকালে কাঁকিনাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত শেখ ফিরোজকে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

ভাটপাড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান ও ভাটপাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক অর্জুন সিং টেলিফোনে বলেন, “গতকালের ঘটনাটি সত্যি খুব দুঃখজনক। আমি এই পরিবারের সাথে গতকাল রাতে অনেকক্ষণ ছিলাম। তারা আমার কাছে দাবি জানিয়েছে অভিযুক্তদের ধরে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে। আমি সেই মত পুলিশকে দ্রুত অভিযুক্তদের ধরতে বলেছি। তবে এই যে শেখ ফিরোজ নামে একজনকে ধরা হয়েছে, এলাকার যত দুষ্কৃতী আছে, তাদের মধ্যে, এই কাঁকিনাড়া এলাকায় এ নতুন মুখ। ছেলেটি এলাকায় নেশাখোর হিসেবেই পরিচিত। হতে পারে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার জন্য এরকম করে একজনকে খুন করে ফেলল। এরা সকলেই ১নং, ২নং, বা ৩নং গলির বাসিন্দা তাই একজন যখন ধরা পড়েছে বাকিদেরও পুলিশ ধরে ফেলবে”
উল্লেখ্য পুলিশ কিয়স্ক থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে হওয়া এই ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীরা। প্রতিবাদে রবিবার সন্ধের পর থেকে সোমবার সকালেও এলাকার দোকানপাট বন্ধ রাখে ঐ এলাকার ব্যাবসায়ীরা।