অরিন্দম রায় চৌধুরী, ব্যারাকপুরঃ
আবারও শিরোনামে ব্যারাক্পুর শিল্পাঞ্চল! একদিকে যেমন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সক্রিয়তা আছে আবার অপরদিকে থেমে নেই দুষ্কৃতীদের কার্যকলাপ। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে খুন এবং গুলি করে খুনের চেষ্টা হয়েছে বেশ কয়েকটি। আর সবকটিই এই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে।
ফের শনিবার ভর সন্ধ্যায় এক্কেবারে টিটাগড় স্টেশন লাগোয়া ব্যস্ততম রাস্তায় চলল গুলি। গুলিতে জখম দু-জন। ব্যারাক্পুর পুলিশ কমিশনারেটের টিটাগড় থানার অন্তর্গত এ কে আজাদ রোডের (ওরনপাড়া) উপর ব্যাবসায়ী ভিকি রজক(২৭) ও তার ভাইপো গুড্ডু রজক(১৭) তাদের নিজেদের পারিবারিক মুদিখানা দোকানের সামনে বসেছিলেন। হঠাৎ বাইকে করে চারজন দুষ্কৃতী এসে তাদের উপর গুলি চালায়। গুলি লক্ষভ্রষ্ট হলেও দুষ্কৃতীদের ছোড়া একটা গুলি গুড্ডুর মাথা ছুঁয়ে বেড়িয়ে যায়, আর একটা গুলি ভিকির বাঁ কাধে লাগে। গুলি লাগার সাথে সাথে দুজনেই মাটিতে লুটিয়ে পরে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে তড়িঘড়ি দুজনকেই স্থানীয় ব্যারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ভিকির চোট গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করে। অন্যদিকে গুড্ডু বি এন বসু হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদিকে ভিকি ও গুড্ডু দুজনেরই বক্তব্য, তাদের উপর যারা এদিন গুলি চালিয়েছে, কাউকেই তারা চিনতে পারেনি। ঘটনার পরপরই এলাকায় প্রচুর পুলিশ মেতায়ন করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে টিটাগড় থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এরা দুজনেই এলাকায় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে টিটাগড় পৌরসভার কাউন্সিলর ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনীস শুক্লা জানিয়েছেন,“বিকি ও গুড্ডু দুজনেই আমাদের দলের কর্মী, শুনলাম যারা আজ ওদের উপর গুলি চালিয়েছে, তাদের কাউকেই চিনতে পারেনি ওরা। তবে আমরা আশাবাদী পুলিশ খুব শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করবে।” ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যপক উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে।