অরিন্দম রায় চৌধুরী, ব্যারাকপুরঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
২রা জুন বেলা ৩টে নাগাদ ব্যারাকপুরে তৃনমূলের যুব নেতা সম্রাট তপাদারের ডাকা একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে সম্রাট বলেন, “পশ্চিম বাংলার মানুষকে এই মুহূর্তে ভাতে – পেটে মারার চক্রান্ত চালাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এই মুহূর্তে যেমন পেট্রোল ,ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম হু হু করে বেড়ে চলেছে, পাশাপাশি বাজারে মানুষের নিত্য নৈমিত্তিক জিনিসপত্রের দামও বেড়ে যাচ্ছে ফলে সব কিছুই ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
আবার অপরদিকে দেখুন পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে মিথ্যাচার দিয়ে বোকা বানানোর তীব্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন একজন গদ্দার। যার রাজনৈতিক জন্ম মমতা ব্যানার্জির দয়াতে। কারণ মমতা ব্যানার্জি না থাকলে পশ্চিমবঙ্গ কেন কাঁচরাপাড়ার লোকই তাকে চিনতো না, সেই গদ্দার আজকে পশ্চিমবাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করতে নেমেছে।
[embedyt] https://www.youtube.com/watch?v=8cV9fJLRarM[/embedyt]
শুধু মুখে বড় বড় কথা বলে চলেছেন চারিদিকে যে গদ্দার তার কাছে আমাদের দাবী, আমাদের নেতা অভিষেক ব্যানার্জি যখন পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র-যুবদের নিয়ে নতুন করে বাঁচার একটা স্বপ্ন দেখাচ্ছে তখন সেই অভিষেক ব্যানার্জির বিরুদ্ধে নানা রকমের কুৎসা ও অসত্য কথা বলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।” এরপর তিনি একটি আদালতের আদেশ সাংবাদিকদের দেখিয়ে বলেন, “যেমন আপনারা সকলেই জানেন বিস্ববাংলা লোগোকে নিয়ে এই চাটনিবাবু যে মিথ্যা কথা বলেছিল, আমাদের নেতা অভিষেক ব্যানার্জিকে ব্যাক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছিলেন, সার্বিক ভাবে তাকে অপদস্ত করার চেষ্টা করেছেন, যা ১৯শে মে, ২০১৮ তে মহামান্য আদালতের রায়ে প্রমাণ হয়ে গেছে যে তিনি মিথ্যা কথা বলেছিলেন। আদালত এই গদ্দার মুকুল রায়কে একমাসের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে এবং তা অতি অবশ্যই লিখিত ভাবে। কিন্তু এখনও অবধি তিনি তা করেন নি আর এখানেই আমরা যারা ছাত্র-যুব অভিষেক ব্যানার্জির নেতৃত্বকে বিশ্বাস করি, যখন অভিষেক ব্যানার্জি চাইছেন নতুন এক প্রজন্মকে তৈরি করতে, বা নতুন এক নেতৃত্বকে তুলে আনতে সেই সময় এই ধরনের মুকুল রায়ের মত লোকেরা তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে তাই স্বভাবিক ভাবেই এর রাজনৈতিক ভাবে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করা আমাদের কর্তব্য বলেই আজ আপনাদের মাধ্যমে সকলের কাছে আবেদন করছি।”
সাংবাদিকরা সম্রাটের কাছে যখন জানতে চায় তিনি এই ঘটনার প্রতিবাদ কি ভাবে করবেন বলে মনে করছেন? তখন তিনি বলেন, “আমরা যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব থেকে বেশী আমাদের কর্মী খুন হয়েছে তবুও আমরা অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশে কিছু বলি নি। কিন্তু মনে রাখবেন হাত জোর করে কথা বলা মানে ভদ্রতার পরিচয় যা আমাদের আছে কিন্তু তা কখনই আমাদের দুর্বলতা নয়। ছেলের বয়সী একজন যুব নেতার বিরুদ্ধে যে ভাষা তিনি প্রয়োগ করেছেন তার নিন্দা করছি, তাই আমি আপনাদের কাছে দ্ব্যর্থহীন গলায় বলছি মুকুল বাবু যদি অভিষেক ব্যানার্জির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তো সব মিটেই গেল নচেৎ তিনি যতই সিকিউরিটি নিয়ে ঘুরে বেড়ান তাতে আমাদের আটকাতে পারবেন না, আমরা এবার উনি যেখানেই যাবেন সেখানেই কালো পতাকা দেখাবো।” – 959