সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘরে বা বাইরে প্রতিদিনের নিজেদের কাজের মাঝে আমাদের সকলেরই একমাত্র সঙ্গী হয়ে ওঠে চায়ের কাপ। এমনকি আড্ডার আসরেও চা ছাড়া যেন আমেজটা ঠিক জমে না। তবে ঠিক কোন পদ্ধতিতে চা খাচ্ছেন, সেটা কিন্তু বেশ চিন্তার বিষয়। যেমন অনেকেই দুধ চা খায় আবার কেউ কেউ লিকার চা খেতেও ভালোবাসেন।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
আপনারা সকলেই জানেন, সারা পৃথিবী জুরে বহু জায়গায় চা চাষ করা হয়ে থাকে। যেমন ভারতবর্ষের দার্জিলিং, আসাম, কেরালা এবং নীলগিরি প্রভৃতি স্থানের চা বিখ্যাত। ঠিক একইরকম চায়ের অনেক রুপও আছে। যেমন গ্রীন টি, হোয়াইট টি, ব্ল্যাক টি, প্রভৃতি। তবে আপনারা কি জানেন এই সমস্ত ধরনের চা আসে একটি মাত্র চা গাছ থেকে। যার নাম ক্যামেলিয়া সিনেসিস।
মূলত কালো চা সব থেকে বেশি অক্সিডাইজড করা হয়ে থাকে। এবং চা বানানোর মূল পদ্ধতি হল, প্রথমে চায়ের কাঁচা পাতা শুকিয়ে নেওয়া হয়। তারপর হাতের দ্বারা গুড়ো করে, রোদে শুকিয়ে কালো চা তৈরী করা হয়। এই প্রক্রিয়ার কারনেই চায়ে আলাদা সুগন্ধ আসে।
আচ্ছা আপনারা কি জানেন, ব্ল্যাকটির মধ্যে অতিরিক্ত পরিমানে ক্যাফেইন থাকে। এবং আপনারা হয়তো জানেন ক্যাফেইন অতিরিক্ত পরিমানে শরীরে প্রবেশ করা উচিৎ নয়।
চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক লিকার চায়ের উপকারিতা।
১. ক্যান্সার রোগ দূরীকরন হিসাবে ব্ল্যাক টির মধ্যে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যার মধ্যে থিয়াফ্লেভিন, ক্যাটেচিন্স প্রভৃতি উপাদানগুলি ক্যান্সার রোধে সহায়তা করে।
২. এনার্জি বাড়িয়ে তোলে লিকার চায়ে থিয়োফিলিন ও ক্যাফেইন থাকায় এনার্জি পাওয়ার বেরে যায়। আর সেই জন্য অফিস থেকে ফিরে এক কাপ চা পানের পরামর্শ হামেশাই দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
৩. মনোযোগ বৃদ্ধির জন্য ব্ল্যাক টি অত্যন্ত জরুরি। কারন, ব্ল্যাক টির মধ্যে অ্যামিনো অ্যাসিড বর্তমান। যার ফলে ব্ল্যাকটি পান করলে এই অ্যামিনো অ্যাসিড মস্তিকের মধ্যে বিশেষ কাজ করে। এর জন্য ব্রেনের বিশেষ কিছু অংশ অ্যাকটিভ হয়ে যায় এবং মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
৪. রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, ব্ল্যাকটির মধ্যে অ্যালকেমিন অ্যান্টিজেন রয়েছে যা বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে সহায়ক, ব্ল্যাকটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। এমনকি রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।