শান্তনু বিশ্বাস, হাড়োয়াঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় পাঁচ বছরের এক নাবালিকার বোমায় হাত উড়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে আর্থিক ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়েছে। কিন্তু ৩১ শে মে এই হাড়োয়ার গোপালপুরের হালদার পাড়ায় আহত নাবালিকার বাড়ি যান ত্রিপুরার রাজ্যপালের তথাগত রায়। তিনি এদিন এই নাবালিকার বাড়ি আসার এক দিন আগে এই নাবালিকার বাবা মা ও পরিবারের লোকেদের জানিয়েও দিয়েছিলেন। কিন্তু জানানো সত্বেও, বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে এই নাবালিকার সঙ্গে দেখা হলো না রাজ্যপালের। যদিও এই নাবালিকার সঙ্গে দেখা না হওয়ায় কোন ক্ষোভ বা রাগ প্রকাশ করেনি তিনি। বরং রাজ্যপাল সঙ্গে করে নিয়ে আসা কিছু নগদ টাকার মধ্যে কিছু টাকা একটি প্যাকেটে মুড়ে, এই নাবালিকার বাবার হাতে তুলে দেন। যদিও পরে জানা যায় যে দান করা ওই প্যাকেটের মধ্যে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ছিলো।
এছাড়া ওই নাবালিকার পরিবার সুত্রে জানা যায়, নাবালিকাকে নিয়ে তার মা চিকিৎসার জন্য কলকাতার একটি বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যান। আর তাই নাবালিকার সঙ্গে না দেখা হওয়ায় রাজ্যপাল তথাগত রায় নাবালিকার বাবার হাতে টাকা তুলে দিয়ে বলেন, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত টাকা, আমার বাড়িও দুটো মেয়ে আছে, এমন ছোট্ট একটা মেয়ের এমন হয়েছে, আমার সহানুভুতি হয়েছিলো বলেই টাকাটা দিলাম, মেয়েটাকে পেলাম না কিন্তু আমি ধরে নিচ্ছি এই টাকাটা যথা স্থানে পৌঁছাবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে চারিদিকে বোমাবাজি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন,’ বোমাবাজি হওয়া উচিৎ নয়’। রাজ্যপাল তথাগত রায় স্বংয় এই নাবালিকার বাড়ি আসায় খুশিতে আপ্লুত পরিবারের লোকেরা ও এলাকায় এই প্রথম এতো বড়ো মাপের ব্যক্তি আসায় খুশি এলাকাবাসীও।